নিজস্ব প্রতিবেদন:ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে অনেক অজানা বিষয় এখন মানুষের কাছে পরিষ্কার । আমরা সচরাচর কোন বিষয়ের জন্য আগে সোশ্যাল মিডিয়া সার্চ করে থাকি সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জানার পরিধি কে আরো বাড়িয়ে তোলে।আমরা সহজেই ছোট থেকে অনেক বড় বিষয় পর্যন্ত জানতে পারি।কোন কিছুই জানতে চাইলে আমরা সহজে সেটা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানতে পারি।
মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক অজানা বিষয় যেমন গভীর জঙ্গলে কি হচ্ছে, পানির নিচে কি হচ্ছে অথবা কোথাও কোন বিপর্যয় হলে সহজে জানতে পারি।শুধুমাত্র এর জন্য প্রয়োজন মোবাইল ডাটা যা বর্তমান সময়ে খুবই সহজলভ্য যার জন্যসম্প্রতি প্রাণীর প্রতি মানুষের নৃশংসতার বেশ কিছু ঘটনা শ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এসব ঘটনায় মানুষের মানবিক বোধ প্রশ্নের সম্মুখিন হওয়ার পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে প্রাণি অধিকার নিয়েও।
খাবারে বিষ মিশিয়ে বানরকে মেরে ফেলা, ঝড়ে গাছ থেকে পড়ে যাওয়া পাখি কুড়িয়ে নিয়ে জবাই করে খাওয়া বা খাদ্যের খোঁজে মেছো বাঘ, বনবিড়াল, শেয়াল ইত্যাদি প্রাণী ভুল করে লোকালয়ে এসে মানুষের নৃশংসতায় প্রাণ হারানোর ঘটনা প্রায়ই গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। সম্প্রতি ভারতে আনারসের ভেতর বাজি ভরে অন্তসত্বা এক হাতিকে খেতে দেয়া হয়। হাতিটি সেই আনারস খেয়ে তার ভিতরে বিস্ফেরণ ঘটে ও মারা যায়।
ওই হাতিটির যখন মুখের ভেতর আনানারসের বিস্ফোরণ ঘটে, সে তারপর তার দল থেকে সরে গিয়ে একটি নদীতে নেমে যায়। সেখানে সে টানা তিনদিন পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে মারা যায়। এ ঘটনায় অনেকে বলছেন হাতিটি যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ও গর্ভের শাবকটিকে একটু স্বস্তি দিতে নদীতে নেমে গিয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছে হাতির বুদ্ধিমত্তা ও সংবেদনশীলতা নিয়ে।
হাতিটি কি তার মৃত্যু আসন্ন বুঝতে পেরে আহত হওয়ার পর সরে গিয়েছিল দল থেকে, এবং নিশ্চুপ থেকেছিল?গত পঞ্চাশ বছরের নিরীক্ষায় দেখা গেছে, হাতিদের মধ্যে আছে মানুষের মতোই নানা অনুভূতি। তাদের চিন্তার ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি প্রখর,পরিবার ও সমাজের বোধ দৃঢ়। ওদের সমবেদনা আছে, প্রতিশোধস্পৃহাও।সারা পৃথিবীতে হাতির প্রজাতি রয়েছে তিনটি। যার দুটি আফ্রিকার আর ভারতের একটা।
তবে এর বাইরে আরো দুটি হাতির প্রজাতি নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।তবু ইন্দ্রিয়ক্ষমতা, শারীরবৃত্তি ও আচরণে এরা যে অনেকটাই এক তা প্রকাশ পেয়েছে ভারতীয় হাতি নিয়ে গবেষণায়।হাতিরা মৃত্যুর মুখ চেনে। আফ্রিকায় নিয়মিত পরিকল্পিত ভাবে হাতি নিধন করে তাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। ছোট প্লেন বা হেলিকপ্টারের সাহায্যে তাদের খেদিয়ে একত্রে এনে গুলি করা হয়।
দেখা গেছে কোনও বনে যখন হাতি শিকার করা হচ্ছে, তার থেকে বিপুল দূরত্বে থাকা অন্য এক বনের হাতিরা সন্ত্রস্ত হয়ে সরে গিয়েছে সম্পূর্ণ উল্টো অভিমুখে প্রান্তঘেঁষা এলাকায়।গবেষকরা জানান, মুমূর্ষু হাতিরাই অন্য হাতিদের বিপদ সম্পর্কে সতর্ত করে দেয়। হাতিরা নিজেদের মধ্যে বহু দূর থেকে সংযোগ রক্ষা করতে পারে ইনফ্রাসোনিক শব্দের সাহায্যে।
প্রতি সেকেন্ডে আনুমানিক ন্যূনতম ২০ শব্দতরঙ্গ না উঠলে আমরা কানে শুনি না—এই শব্দের কম্পাঙ্ক তার থেকে কম। কিন্তু জোরালো। তা বহু কিলোমিটার যেতে পারে। ঘাতকের অজান্তেই তাদের কীর্তি জেনে যাচ্ছিল অন্য হাতিরা।দক্ষিণ আফ্রিকার এক অরণ্যে একবার একটি মা হাতি ছাড়া সমস্ত হাতি মারা যাওয়ার পর পর্যবেক্ষক দক্ষিণ আফ্রিকার এক জীববিজ্ঞানী ও নৃতত্ত্ব-গবেষক একটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন।
তিনি জানান, ওই অরণ্যের প্রান্তে সমুদ্রের কাছে উঁচু পাহাড়ের মাথায় দাঁড়িয়ে নীল তিমির ডাক শুনছিলেন। নীল তিমিও মৃদু কম্পাঙ্কের কিন্তু উচ্চ শক্তিসম্পন্ন শব্দতরঙ্গের সাহায্যে কথা বলে। হঠাৎ দেখলেন টিলার ওপরে ওই মা হাতিটি। নিঃসঙ্গ, প্রিয়জনহারা। পর্যবেক্ষকের কানে হঠাৎই এল মেঘের ডাকের মতো একটা গুরুগুরু শব্দ। তিনি চমকে উঠে দেখলেন, সমুদ্রের নীল তিমির ডাকে সাড়া দিচ্ছে হাতিটি।
দীর্ঘ দিন নিঃসঙ্গ হাতিটির কানে আসেনি তার পরিচিত ইনফ্রাসোনিক তরঙ্গায়িত কোনও শব্দ। তিমির ডাক হাতিটিকে তাই টেনে এনেছে সমুদ্রের কাছে। আমরা ভিডিওটির মধ্যে দেখতে পেয়েছি চলন্ত একটি গাড়িকে মানুষসহ হাতের নম্বর ধারা মাথার ওপরে তুলে দিলেন হাতির এমন শক্তি দেখতে চাইলে আপনারা ভিডিওটি দেখতে পারে