স্যোশাল মিডিয়ায় মাঝেমাঝেই বিভিন্ন ধরণের ভিডিও ভাইরাল হয়। পশুপাখির মজাদার কার্যকলাপ হোক কিংবা তথ্যসমৃদ্ধ কোনো ঘটনা,কোয়ালিটির কন্টেন্ট হলেই তা মানুষের নিউজফিডে পৌঁছতে বেশি সময় নেয় না। স্যোশাল মিডিয়ার ক্ষমতা সম্পর্কে তো কমবেশী আমরা সবই জানি।রানাঘাটের স্টেশনে ভিক্ষা করা রানু মন্ডলকে মুম্বাই পৌঁছে দিয়েছিল এই নেটিজেনরাই। আবার ভুবন বাদ্যকরকে তুখার জনপ্রিয়তা,
এনে দেওয়ার পিছনে রয়েছে স্যোশাল মিডিয়ারই হাত। ভুবন বাদ্যকর। নিজের স্কুটার গাড়িতে করে গ্রামের রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করতেন তিনি। গাইতেন ‘আমার কাছে নাইকো বাবু ভাজা বাদাম। আমার কাছে আছে শুধু কাঁচা বাদাম।’ সেই গানের সুর আর কথা এতই জনপ্রিয় হয়েছিল স্যোশাল মিডিয়ায় যে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন দেশের প্রত্যেক ইনস্টাগ্রামারের প্রোফাইলে। সেই গানের ডিজে মিক্সিংয়ে রিল বানিয়েছেন বহু সেলেবরা। তবে এবার হয়ত ভুবন বাদ্যকরের কাঁচা বাদামের দিন শেষ। কারণ বাজারে চলে এসেছে পাকা বাদাম। হ্যাঁ, ভুবন বাদ্যকর এবার কাঁচা বাদামের সুরে নিয়ে এলেন পাকা বাদাম।
ডিজে মিক্সিং গানটিতে মুখও দেখিয়েছেন তিনি। রংচঙে টিশার্টের উপর সাদা জ্যাকেট পড়ে গলায় হলুদ বটুয়া ঝুলিয়েছেন ভুবন। তার আশপাশে নেচে বেড়াচ্ছে শর্ট ড্রেসের সুন্দরী যুবতীরা। তবে কি যুবতীকে পেয়ে পেকে গেল কাঁচা বাদাম! সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে নেটিজেনদের মনে। গানটির টিজার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করেছেন ভুবন বাদ্যকর। গানটি রেকর্ড করা হয়েছিল দেশি ফ্রেম রেকর্ডস নামক ইউটিউব চ্যানেল থেকে। ভিডিও আপলোড হওয়া মাত্রই সমালোচনার ঝড় উঠেছিল নেটপাড়ায়। বুড়ো বয়সে এমন কচি মেয়েদের সঙ্গে নাচানাচি ভালো চোখে দেখছেননা অনেকেই। তবে কপিরাইট থাকার কারণে গানটি ইতিমধ্যেই সড়িয়ে নিয়েছে ইউটিউব।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কাঁচা বাদাম দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল ভুবনের গাওয়া জনপ্রিয় গানের লাইন; “আমার কাছে নাই গো বাবু ভাজা বাদাম, আমার কাছে পাবে শুধু কাঁচা বাদাম” এর মধ্য দিয়ে কাঁচা বাড়ি পরিণত হয়েছে অট্টালিকায়। বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত কুড়ালজুড়ি গ্রামের ভুবন বাদ্যকর রাতারাতি সেলিব্রেটি হয়ে উঠেছিলেন। তবে ঠিক যখনই জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে ভুবন বাদ্যকর খোলেন নিজের ভ্লগ প্রোফাইল। অর্থাৎ একদন্ডও মানুষকে তিনি ভুলে থাকতে দেননি নিজের কথা। তাঁর পিআর স্টান্ট সত্যিই চমৎকার। তবে ভুবন কতদিন এই নেমফেম ধরে রাখতে পারে সেটাই দেখার।