স্বামী বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশন এন্ড কালচারের তরফ থেকে ভার্চুয়ালি জাতীয় স্তরে একটি গানের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল গত ২০ সেপ্টেম্বর,থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর। সেখানেই দেশের তাবড় তাবড় শিল্পীদের হারিয়ে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান দখল করে ফেলেছে বঙ্গতনয়া আনন্দী ব্যানার্জি।মাত্র ৯ বছর বয়সী আনন্দীর নিবাস বীরভূমের সিউড়ি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁর পারফর্ম্যান্স ছিল। প্রথম বিভাগে যারা অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন,
তাদের বয়সসীমা নির্ধারণ করা ছিল ৫-৯ বছর। আনন্দীর বয়সও ৯, তাই ঐদিন টানা ৭ মিনিট পারফর্ম করে বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সে। এবং তাকেই প্রথম ঘোষণা করা হয়। সিউড়ি পাইকপাড়ার সরোজিনী দেবী সরস্বতী শিশু মন্দিরে তৃতীয় শ্রেণীতে পাঠরতা আনন্দী। গানের তালিম সে নিচ্ছে ছোটো থেকেই। পাড়ার ফাংশনে গান করার অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে। কিন্তু এমন বড় একটি অনুষ্ঠানে এত মানুষের মধ্যে গান করার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না। তবুও কোনোরকম ভয় না পেয়ে নিজের সেরাটুকু দিতে পেয়েছে সে।তাঁর এই সাফল্যে মা-বাবা তো বটেই গর্বিত হয়েছে পাড়াপড়শিরাও। কলকাতার বিভিন্ন রিয়ালিটি শোয়ের অডিশনের জন্য আনন্দীকে নিয়ে বীরভূম থেকে ছুটে আসেন বাবা মা। মেয়ের জন্য দৌড়াতে তাদের ক্লান্তি নেই। তাঁরা চান, মেয়ে সংগীত শিল্পী হোক। সেইজন্যেই তাঁকে পড়াশোনার পাশাপাশি গান চর্চাতেও মনোনিবেশ করতে বলা হয়। আনন্দীও যথেষ্ট পরিশ্রমী। গান এবং পড়াশোনা সমানতালে করে যাচ্ছে সে। আর সেটাই তাকে এনে দিল অপার সাফল্য। আনন্দীর জন্য গর্বিত গোটা জেলা।