আপনারা কি রহিম এ রুপবান এর কাহিনী জানেন? জানেনকি তাদের বয়সের পার্থক্যটা কতো ছিলো? না জানলে বলছি রুপবান একটি পূর্ণদৈর্ঘ বাংলা সিনেমা, যেটি ১৯৬৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত লোককাহিনী নির্ভর বাঙালী সিনেমা।
এই সিনেমায় ছেলেটি মেয়েটির চাইতে ১২ বছরের ছোট ছিলো। ছেলেটিকে কোলেপিঠে করে অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে বড় করতে থাকে রুপবান। রাতপর ১২ বছরের ছোট রহিমকে বিয়ে করে রুপবান। যেটি বাংলা সিনেমা জগতে অতি হিট একটি সিনেমা, যার দর্শক প্রিয়টাও ছিলো অনেক।
কিন্ত আজকের প্রতিবেদনে যা বলতে যাচ্ছি তা রহিম-ররুপবানের কাহিনির মতো না হলেও, সেই কাহিনী আমাকে কিছুটা রহিম রুপবানের কাহিনী থেকে ঘুড়িয়ে নিয়ে আসলো।
আগেকার যুগে আমরা স্কুলে পড়তে যেতাম আর স্যাররা বা ম্যামরা ছিলো আমাদের পিতৃ ও মাতৃ তুল্য। তাদের সাথে বেয়াদবি দূরে থাক এইসব কথা চিন্তা ও করতে পারতাম না। কিন্ত এখন যা হচ্চে তা একেবারে উলটো। স্যাররা আর স্যারদের যায়গায় নেই কিঙ্গা ছাত্র ছাত্রীরাও তাদের যায়গায় নেই, যদিও বা সবাই এক না। কিন্ত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটাই চলে আসছে।
আজকের এই প্রতিবেদনে একজন স্যার যার বয়স বর্তমানে ৫২ বছর আর তার ছাত্রীর বয়স ২০ বছর। মূলত ছাত্রীকে পড়ানোর মধ্য দিয়েই তাদের সম্পর্ক শুরু হয়। তো বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক আজকের প্রতিবেদনঃ
তাদের বয়সের ব্যবধান ৩২ বছরের। তবে এই ব্যবধান দুজনের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। তাই তো বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে একে অপরের হাত ধরেছেন ৫২ বছর বয়সী শিক্ষক ও ২০ বছরের প্রেমিকা। পাকিস্তানের এই দম্পতির প্রেমকাহিনি নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। খবর আজতাকের।
জোয়ানুর বি.কমের ছাত্রী। সাজিদ আলি তার শিক্ষক। পড়তে পড়তেই শিক্ষককে মন দিয়ে ফেলেন জোয়া। সাজিদের ব্যক্তিত্ব আকৃষ্ট করে তাকে। তাই বয়সের পার্থক্যকে তুড়ি মেরে প্রেমের জোয়ারে নিজেকে ভাসিয়ে দেন এই তরুণী।
তবে হুট করেই জোয়ার প্রেমে পড়েননি পঞ্চাশোর্ধ্ব সাজিদ। তিনি প্রথম দিকে ছাত্রীর প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কিন্তু জোয়ার প্রেমের টানে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি সাজিদ। তারপরই দুজনের চার হাত এক হয়। এক ইউটিউবারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজেদের প্রেমের কাহিনি শুনিয়েছেন জোয়া ও সাজিদ।
জোয়া জানিয়েছেন, কলেজেই সাজিদকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথমে তা প্রত্যাখ্যান করেন সাজিদ। জোয়াকে সাজিদ বলেছিলেন, আমাদের মধ্যে ৩২ বছরের পার্থক্য। আমরা বিয়ে করতে পারি না।
তবে মনের মানুষকে কাছে পেতে নাছোড়বান্দা মনোভাব ছিল জোয়ার। তাই প্রাথমিকভাবে তার প্রস্তাব সাজিদ ফিরিয়ে দিলেও তিনি ভেঙে পড়েননি। আবার ছাত্রীকে বিয়ে করা নিয়ে সাজিদেরও কোনো গোঁড়ামি ছিল না। সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন সাজিদ।
বিয়ের বিষয়ে দুজনের পরিবার থেকেই আপত্তি ওঠে। কিন্তু কোনো বাধাই তাদের প্রেমে পরিণতি ঠেকাতে পারেনি। বর্তমানে সুখেই সংসার করছেন তারা।
প্রেমকি কোনো বাধা মানে, না যদি সত্যিকারের প্রেম হয়ে থাকে তাহলে আসলেই বাধা মানেনা। তাদের পরিবারের ইমোশন তাদের ভালোবাসাকে ঠেকাতে পারেনি। বয়সকে শুধুমাত্র একটি সংখ্যা ধরে জয় হয়েছে ভালোবাসার।