আদিমকালে মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে এক স্হান থেকে অন্যস্হানে পায়ে হেটে যোগাযোগ করত।সময়ের সাথে সাথে তারা প্রকৃতির সাথে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তুলে বশ মানায় প্রকৃতিকে।লালন পালন করা শুরু করে হাতি ঘোড়া সহ নানা প্রাণী।পরে এগুলোকেই একসময় তারা যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা শুরু করে।
ধীরে ধীরে মানুষের চিন্তা চেতনার বিকাশের সাথে সাথে প্রকৃতির রহস্য আবিষ্কারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শুরু হয় বিজ্ঞানের যাত্রা। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে যোগাযোগ শিল্পেরও অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটে। এই উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাষ্প রেল ইঞ্জিন আবিষ্কারের পর, যোগাযোগ শিল্প এটি আরও সহজ, আরও সাশ্রয়ী এবং আরামদায়ক হয়ে উঠেছে।
রেল যোগাযোগ মানুষের ভ্রমণ যাত্রাকে আরামদায়ক করলেও এর বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।তারমধ্যে অন্যতম হলো দুর্ঘটনা।আমরা প্রায় প্রতিদিনই সংবাদমাধ্যমে টেনে কাটা পরে মানুষের মৃত্যুর খবর শুনি।ট্রেনে কাটা পরে যে শুধু মানুষ মারা যাচ্ছে তা নয় অনেক প্রাণীও মারা যাচ্ছে, আহত হচ্ছে।
কারণ রেললাইন সাধারণত গ্রামাঞ্চলের মধ্য দিয়ে নেওয়া হয় যেখানে বন রয়েছে। ফলে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাচ্ছে এসব বনের বিভিন্ন প্রাণী। যা আমরা প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলিতে দেখতে পাই। এমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছে, যা সাধারণ মানুষকে চমকে দিচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া ইউটিউবে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ভারতের একটি জঙ্গলে ট্রেনের সামনে একটি হাতি মারাত্মকভাবে আহত হচ্ছে। ট্রেন হয়তো সাথে সাথে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। হাতিটি ট্রেনের সামনে আহত অবস্থায় পড়ে ছিল এবং হামাগুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল। হাতির পা ও শরীর রক্তাক্ত ছিল। সে বেশি নড়াচড়া করতে পারেনি। অনেক চেষ্টার পর হাতিটি উঠে বনে গেল।
এই ভিডিওতে খুবই অমানবিক ব্যাপার ছিল শত শত মানুষ হাতিটিকে সাহায্য না করে আহত হাতিটিকে মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও করছে। আজকাল এটা একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ বিপদে পড়লে মানুষ হাতিটিকে সাহায্য না করে ঘটনার চিত্রায়নে ব্যস্ত থাকে।
ইউটিউবে আপলোড হওয়ার সাথে সাথে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।কমেন্ট সেকশনে পশুপ্রেমীরা মানুষের এই ভিডিও করার বিষয়ের সমালোচনা করেতেছে এবং তাদের প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবার আহ্বান জানাচ্ছে।