নারী স্বাধীনতা মানে কি কেবলই দু’জনের অর্থ উপার্জন, নাকি সমান ভাগবাটোয়ারাও। মানে এই যেমন ধরুন, স্বামীর বাড়ি থাকলেও স্ত্রী নিজ উপার্জনে একটা বাড়ি করতেই পারে, আবার ডিভোর্স মানেই খোরপোষের নামে মুখিয়ে থাকা নয়। নিজের সন্তানকে মানুষ করার দায়িত্ব তো বাবা-মা দুইজনেরই। সেক্ষেত্রে বাবা টাকা দিতে বাধ্য থাকবে কেন অথবা মা কর্মহীন হয়ে সন্তান লালনপালনে বাধ্য এমনটাও নয়। এবার নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী তেজস্বী প্রকাশ।
তিনি বলেন, ‘মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়া ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’ এছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘কোনও ইনভেস্টমেন্টের ক্ষেত্রে পুরুষের উপদেশের ওপর নির্ভরশীল হওয়া ‘ভীষণই বোকামি’।’ পরিবারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তেজস্বী নিজেকে ‘আই অ্যাম বিগ অন ইনভেসমেন্টস’ দাবি করেছেন। শুধুমাত্র উপার্জনের ক্ষেত্রে চাকরি নয়, বাড়িতে বসেও যে নিজেকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন করে তোলা যায়, অবিমত প্রকাশ করেন তেজস্বী।
বিগ বস ১৫-এ অংশগ্রহণ থেকে খাতরো কা খিলাড়ি , টেলিভিশনের একাধিক শোয়ে অংশ নিয়েছেন তেজস্বী। বরাবরই স্পষ্ট কথা বলার রোক হিসেবে পরিচিত তেজস্বী। ২০২২ সালে গোয়ায় তেজস্বী একটি বাড়ি কিনেন।এছাড়াও মুম্বাইতেও সম্পত্তি রয়েছে বলে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি। দুবাইয়ে বয়ফ্রেন্ড করণ কুন্দ্রার সঙ্গে দুইজনে মিলে দুটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। একটি সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক বাবা, দাদা, স্বামীর ওপর মেয়েদের ইনভেস্টমেন্টের পরামর্শ নিয়ে প্রশ্ন করলে তেজস্বী বলেন, ‘আমি মনে করি এটা ভীষণভাবে বোকামি। আই অ্যাম বিগ অন ইনভেস্টমেন্টস।’ অভিনেতা হোক বা অন্য কোনও জগতের মানুষ কাজের মধ্যে না থাকতে না পারলে স্বাভাবিকভাবেই জীবনে শান্তি নষ্ট হয়। তা থেকে পারিবারিক অন্যান্য সমস্যা আরও বাড়ে।
আমাদের সমাজে এখনও বহুক্ষেত্রে এই সমস্যায় পড়তে হয় মেয়েদের। বিবাহ বিচ্ছেদের পর বাবা-মায়ের কাছের ফিরে যেতে হয় আশ্রয়ের খোঁজে। অনেকে শুধুমাত্র বাপের বাড়ি ফিরে যেতে হবে বলেই একটা অসুস্থ সম্পর্কেও দীর্ঘদিন থেকে যায়। অর্থনৈতিকভাবে নিজে স্বাধীন হয়ে মাথাগোঁজার ঠাঁই জোগাড় করতে পারলে সে নিজের মতো করে থাকতে পারবে। তেজস্বী এ প্রসঙ্গে বলেন, একজন নারীর মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে, বোন হিসেবে প্রত্যেকেরই নিজস্ব জগৎ থাকা প্রয়োজন।