মাগুরায় দুটি পুরুষাঙ্গ ও মলদ্বার নিয়ে জন্ম নিয়েছে এক শিশু। ৬ জুন সোমবার রাত ৯টার দিকে জেলা সদরের একটি ক্লিনিকে জন্ম নেয় শিশুটি। সে তার দুটি পুরুষাঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব ও দুটি মলদ্বার দিয়েই মলত্যাগ করছে। দুটি পুরুষাঙ্গ নিয়ে শিশু জন্মের খবরে দলে দলে লোকজন শিশুটিকে দেখতে ওই ক্লিনিকে ভিড় জমায়।
ওই ক্লিনিকের ডাক্তার অপূর্ব কুমার বিশ্বাস বলেন, অবিশ্বাস্য হলেও দুটি মলদ্বার ও দুটি পুরুষাঙ্গ নিয়ে শিশুটি জন্ম নিয়েছে। দুটি পুরুষাঙ্গ দিয়েই প্রস্রাব করছে। একইসঙ্গে দুটি মলদ্বার দিয়ে মলত্যাগ করছে। অবশ্য, এতে ভয়ের কারণ নেই। কেননা, দুটি পুরুষাঙ্গই সম্পূর্ন সক্রিয়। তবে, বছর দুয়েক পর চিকিৎসার মাধ্যমে তুলনামূলক অধিক সক্রিয় পুরুষাঙ্গটি রেখে অপরটি বাদ দিতে হবে। এখন মা ও শিশু দুজনই সুস্থ।
সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুর এ অবস্থা দেখে ডাক্তার অপূর্ব মাগুরা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবদুল হাইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করেন। তিনি জানান, বছর দুয়েক পর একটি অপারেশনের মাধ্যমে শিশুটিকে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব।
শিশুর বাবা বাবু সোনা রায় বলেন, ‘প্রসব বেদনা ওঠার পর আমার স্ত্রীকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভায়নার মোড়ের এহসান জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডা. অপূর্ব অপারেশন করেন।
দুটি পুরুষাঙ্গ ও দুটি মলদ্বার নিয়ে সন্তানের জন্ম হয়েছে শুনে খুব চিন্তায় পড়ে যাই। ডাক্তাররা বলেছেন কোনো সমস্যা হবেনা। বয়স বাড়লে অপারেশন করালেই নাকি ঠিক হয়ে যাবে।’
বাবু সোনা রায়ের বাড়ি জেলা সদরের নতুন বাজার এলাকায়। তিনি ওই এলাকার নিতাই রায়ের ছোট ছেলে ও তার স্ত্রীর তনিমা রায়। রিক্তিকা নামে বছর চারের একটি মেয়েও রয়েছে। বাবু সোনা একটি স্বর্ণের দোকানের কারিগরের কাজ করেন।
তিনি জানান, চিকিৎসকরা বলেছেন ছেলের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা খরচ হবে। সামান্য আয়ে তার সংসার চলে। ছেলের চিকিৎসার জন্য এত টাকা কীভাবে জোগাড় করবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। ছেলের চিকিৎসার জন্য সরকার ও বিত্তবানদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে তিনি আবেদন জানিয়েছেন।