আপনার কি অদম্য একটা ইচ্ছা আছে? আপনি কি দেশ সেরা হতে চান? হতে চান দেশের সবচাইতে ব্রিলিয়ান্ট ছাত্রটা কিংবা মানুষটা? তাহলে সর্বপ্রথম আপনার যেটা দরকার সেটা হচ্ছে আপনার জেদ আর অদম্য ইচ্ছা শক্তি। এগুলা না থাকলে আপনি সফল হতে পারবেন না। এই পৃথিবীতে যারাই সফল হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের ছিলো অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর কিজেকে উচ্ছাসনে দেখার একটা জেদ। আর সেই জেদ আর ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে তারা হয়েছেন সেরাদের সেরা।
বলতে যাচ্ছি আমিশা নামক এক মেয়ের কথা। যে তার পরিক্ষায় সর্বমোট ৫০০ ন্মবরের মধ্যে ৮৯৯ পেয়ে দেখিয়ে দিয়েছে পড়ালেখার প্রতি সে কতোটা সিরিয়াস। কতোটা জেদ নিয়ে সে লেখাপরা করে। স্বপ্ন দেখে এই লেখাপড়া শেষ করে সে তার ফ্যামিলিকে একটি পর্যায়ে নিয়ে যাবে। স্বপন দেখে আমিসাও একদিন হবে সেরাদের সেরা।
পড়াশোনায় সঠিক সাফল্য পেতে গেলে দরকার পরিশ্রম এবং অদম্য জেদের। আর এগুলিকে সম্বল করেই পাওয়া যায় চূড়ান্ত সাফল্য। পাশাপাশি সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই তৈরি করে নেওয়া যায় এক অনন্য উত্তরণের কাহিনি। যা বর্তমানে করে দেখিয়েছে আমিশা।
মূলত, ইতিমধ্যেই হরিয়াণা বোর্ড অফ স্কুল এডুকেশন (HBSE) দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছে।যেখানে দেখা গিয়েছে বহু শিক্ষার্থী ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করেছে। তবে, সবাইকে কার্যত চমকে দিয়েছে আমিশা। তার প্রাপ্ত নম্বর শুনে অবাক হবেন সকলেই। শুধু তাই নয়, হরিয়াণার
ভিওয়ানির মাধনা গ্রামের বাসিন্দা আমিশা সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় ৫০০-র মধ্যে ৪৯৯ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। জানা গিয়েছে যে, আমিশা ভিওয়ানির ইশরাবাল পাবলিক স্কুলের ছাত্রী। তার বাবা বেদ প্রকাশ হরিয়ানা রোডওয়েজে একজন কন্ডাক্টর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
পাশাপাশি মা সুনিতা হলেন একজন গৃহিণী। এমতাবস্থায়, আমিশা তার সাফল্যের কৃতিত্ব পুরোটাই বাবা-মাকে দিয়েছেন। পাশাপাশি, তার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদানের প্রসঙ্গও তুলে ধরেছে সে।
একইসঙ্গে ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে শীর্ষস্থান অধিকার করতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত খুশি হয়েছে আমিশা। তার ইচ্ছে হল আইআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং করার। আর সেই কারণেই জেইই অ্যাডভান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সে আইআইটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স-এ ইঞ্জিনিয়ারিং করতে চায়। এজন্য, আমিশা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পরীক্ষায় এই বিরাট সফলতা অর্জনের পর কিছু টিপসও দিয়েছে সে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের চাপ না নিয়ে পড়াশোনা করার পরামর্শ দিয়েছে আমিশা। এছাড়াও অযথা সময় নষ্ট যাতে না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখার কথা জানিয়েছে সে। জানিয়ে রাখি যে, আমিশার দাদাও এই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে জেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন।
কার্যত আপনি যদি কোনো কাজে আটকে থাকেন বা যদি দেখেন না আপনার কাজের মাধ্যমে কোনো ফলাফল আসছে না। তাহলে অবশ্যই আপনার কোথাও না কোথাও ঘাটটি ছিলো। তাই দেরি না করে আজই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন নিজের কাছে। সময়টাকে কাজে লাগান। সফলতার দিকে নজর দেন, স্বপ্নটাকে বাস্তবে রুপ দিতে অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে পুনরায় আবার আপনার কাজটি শুরু করেন। আশা করি আপনিও লক্ষস্থানে পৌছাতে পারবেন।