ইন্টারনেটের জনক হিসেবে পরিচিত আবিষ্কারক হলেন বিজ্ঞানী ভিনটন জি কার্ফ। আর ইন্টারনেট আবিষ্কারের পর এর সবচেয়ে যুগান্তকারী অবদান হলো সোশ্যাল মিডিয়া। বর্তমান যুগে ঘরে বসে বিনোদনের একটি মূলমন্ত্র হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। এর মাধ্যমে আমরা নানান ধরনের খবরের আপডেট পাওয়ার পাশাপাশি বিনোদনও উপভোগ করি।
সোশ্যাল মিডিয়াকে আমরা আরো দুটি নামে চিনি যথা নেটদুনিয়া ও নেটমাধ্যম।এর মাধ্যমে আমরা খেলাধুলা উপভোগ করার পাশাপাশি সিনেমা নিমেষেই উপভোগ করতে পারি। এছাড়াও বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানার জন্য বর্তমানে টিভি এবং রেডিওর বদলে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াকেই বেঁছে নিয়েছে।
ছোটবেলা থেকে গান নাচ শেখার উৎসাহ থাকলেও বড়ো হওয়ার সাথে সাথে পড়াশোনা চাপে ব্যস্ততার চাপে সেগুলো আড়ালে চলে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা নাচ গানে যতই ভালো হোক ক্যারিয়ার অপশন হিসেবে পড়াশোনাকেই বেছে নেয় সকলে। আর এরফলে পরবর্তীতে ডাক্তার, নার্স বা শিক্ষক ইত্যাদি পেশা বেছে নিতে হয়।
কিন্তু মনের ভিতর সযত্নে পালিত হয় তাদের প্রতিভাগুলি। আর ব্যস্ততার মাঝেও কিছু মানুষ সেই গুনগুলিকে চর্চা করেন। নিজেদের ভালোলাগা বা শখের কাজগুলোর জন্য সময় বের করে নিজেদের প্রতিভাগুলিকে প্রকাশ্যে আনেন। এরকমই এক ভিডিও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে আমাদের।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একজন শিক্ষিকা কলেজে মধ্যেই দুর্দান্ত নাচ করছেন। আকাশী রঙের শাড়ি পড়ে খোলা চুলে টিপ টিপ বারসা পানি গানের তালে যেভাবে নেচেছেন তা এককথায় অনবদ্য। শুধু নাচ নয় গানের তালে তালে নিখুঁত স্টেপ, মুখের এক্সপ্রেশন সবটাই ভীষন সুন্দর।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে। প্রচুর মানুষ যেমন তার নাচের প্রশংসা করেছেন, তেমনি অনেকে বলেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের নাচ করা উচিত নয়।
কিন্তু সময় বদলেছে আমাদের উচিত এই ধরনের ধ্যানধারণা বদলানো। বর্তমানে শিক্ষক-শিক্ষিকা মানে শুধু পড়ালেখা ও শাসনের সম্পর্ক নয় পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আর ভিডিওটি দেখলে বোঝাই যাচ্ছে যে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষিকাকে রীতিমতো উৎসাহ যোগাচ্ছে যা সত্যিই সুন্দর মনোভাবের পরিচয়।