পেট্রোপণ্যের দামের পাশাপাশি এবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ডিমের (egg) দাম। ভিন রাজ্যের উপর নির্ভর হওয়ায় অর্থাৎ তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশে ডিমের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়, শীত পড়তে না পড়তেই ক্রমশ ঊর্দ্ধমুখী হচ্ছে ডিমের দাম। যে পোল্ট্রির ডিমের দাম ছিল ৫-৬ টাকা পিস, তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা পিস। তবে এই দামের বৃদ্ধি যে কোথায় গিয়ে থামবে, সেবিষয়ে কিছু জানাতে পারছে না ব্যবসায়ীরাও।
শীতের পিকনিক হোক কিংবা, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই সেদ্ধ ডিম খেয়ে থাকেন। আবার স্কুলের মিড ডে মিলেও ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয় ডিম। বর্তমান সময়ে কলকাতার বাজারে ডিমের জোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা। তবে এই ভাবে ডিমের দাম বাড়তে থাকার ফলে, কিছু কিছু স্কুলে এবার কোপ পড়তে চলেছে ডিমের উপর।
জানিয়ে রাখি, এই পরিস্থিতিতে বাজারে পোল্ট্রি ডিমের দাম ৭ টাকা পিস, দেশী মুরগির ডিম ১০ টাকা পিস, এবং হাসের ডিম ১২ টাকা পিস। জানা গিয়েছে, শীতের পারদ যত চড়বে, সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে ডিমের দামও। তাই এবার শীতের কাঁপুনিতেই আগুন ঘরতে চলেছে মধ্যবিত্তের হেঁসেলে।
এবিষয়ে ডিম ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে ক্যালকাটা এগ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক কাজল দত্ত জানান, দেখা গিয়েছে শীতের সময়ে বাঙালিরা একটু বেশি পরিমাণে ডিম খেয়ে থাকেন। যার ফলে এই সময় ব্যাপক চাহিদা থাকে ডিমের।
তবে ডিম যেসব রাজ্য থেকে আমদানি করা হয়, তাঁরা যে দাম ঠিক করে দেয়, সেই দাম এবারে অনেকটা বেশি হয়ে গিয়েছে। তারউপর যেহারে পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে করে আমদানির ট্রান্সপোর্টর খরচও বেড়ে যাওয়ায় ডিমের দাম এখন আকাশছোঁয়া।
আবার সস্তায় পুষ্টিকর হওয়ায় অনেকেই সেদ্ধ ডিম খেয়ে থাকেন, অনেক সময় দেখা যায়, বডিবিল্ডাররাও ওয়ার্কআউট করার পর সেদ্ধ ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে সাদা অংশটা খেয়ে থাকেন।