ভালোবাসার মানুষকে কীভাবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আগলে রাখতে হয় তা দেখিয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরী। এরপর নেটমাধ্যমে ‘আদর্শ প্রেমিক’-এর তকমা পেয়েছেন সব্যসাচী, তিনি যদিও সেই নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন। তাঁর কথায়, ‘মা অসুস্থ হলে বাবা যেটা করত আমি সেটাই করেছি ঐন্দ্রিলার জন্য’। তবুও সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার লড়াকু প্রেম আমাদের নতুন করে সত্যিকারের ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস করতে শিখিয়েছে।
গত বছর নভেম্বরে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। ২০ দিনের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অভিনেত্রী। পরে জানা যায় ঐন্দ্রিলার শরীরে তৃতীয়বারের জন্য ফিরে এসেছিল মারণরোগ ক্যানসার। ঐন্দ্রিলার মৃত্যু হলেও সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার প্রেম-বন্ধুত্ব, নায়িকার লড়াকু মানসিকতা মন জিতেছে সবার।
এবার ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর এই প্রেম উঠে এল টেলিভিশনের পর্দায়, অন্তত এমনটাই দাবি নেটিজেনদের। প্রেম দিবসে মুক্তি পেয়েছে তানজিন তিশা ও ফারহান অভিনীত নাটক ‘কোথায় খুঁজি নিন’। সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার প্রেমকাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের এই নাটকের প্রেক্ষাপটের মিল পাওয়া গেছে। গল্প পুরোপুরি এক না হলেও মাহমুদ মাহিন পরিচালিত ‘কোথায় খুঁজি নাও’ দেখে নিঃসন্দেহে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে সবার চোখে জল আসবে।
এই নাটকে তিশা একজন টেলিভিশন অভিনেত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তার চরিত্রটি শেষ পর্যন্ত ক্যান্সারে মারা যায়। সব্যসাচীর মতো ফারহানও শেষ দিন পর্যন্ত ভালোবাসা রেখেছিলেন। যদিও নির্মাতারা দাবি করেননি যে ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর গল্পটি এই নাটকের অনুপ্রেরণা, তবে অনুশীলন সেখানে থামেনি। মাত্র ৭ দিনে এই নাটকটির ভিউ সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে।
এই নাটকের কমেন্ট বক্সে কেউ একজন লিখেছেন, ঐন্দ্রিলা শর্মা আমার প্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর শুনে আমি অনেকক্ষণ দুঃখে ছিলাম এবং চোখ দিয়ে পানি চলে এসেছিল, আজ এই নাটকটি আবার সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিল। ” অন্য একজন নেটিজেন লিখেছেন, এটি আমাদের কলকাতার ঐন্দ্রিলা শর্মা এবং সব্যসাচীর বাস্তব জীবনের গল্প এটি একই’।
অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মাও ঐন্দ্রিলা-ভক্তদের মাধ্যমে এই নাটকের কথা জানতে পারেন। ঐন্দ্রিলা শর্মার ফ্যান ক্লাবের ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছে এই নাটকের কথা। সেখানে মেয়ে-হারানো শিখা দেবী আক্ষেপের সুরে লিখেছেন, ‘আমরা যদি ওদের বিয়ে দিতে পারতাম, তাহলে বৃত্তটা সম্পূর্ণ হয়ে যেত’।