আপনার আশেপাশে অনেক সুন্দরী মেয়েরাই বসবাস করছে কিংবা সুন্দরী মেয়েদের আনাগোনা রয়েছে তাইনা? কিন্ত জানেন কি কিছু কিছু সুন্দরীদের সুন্দরের ভিতর লুখিয়ে থাকা অনেক অগোছালো কাহিনী গুলো? যদি নাই জেনে থাকেন তাহলে জেনে নিন আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে মেয়েদের গোপনে করা কিছু কাজের কথা আর যা তারা স্বীকার করতে চাননা।
বেশিরভাগ মেয়েদের মতে ছেলেরাই নাকি নোং’রা, অগোছালো, কেয়ারলেস আরো কতকি. কিন্তু মেয়েরা কি ধোয়া তুলসীপাতা? তারা কি আসলেও নোংরা নয় বা গোপনে তারা অঘটন কি একেবারেই ঘটায়না? তবে ছেলেদের ব্যাপারে এরকম কোথায় কেন বলা হয়? ভেবেছেন কখনো যে মেয়েরাও সমানভাবে নোংরা অগোছালো হতে পারে?
মেয়েরা আজ কিসে পিছিয়ে আছে জানেন? আসলে বর্তমান যুগের মেয়েরা আগেকার যুগের মেয়েদের মতো কোনো কিছুতেই পিছিয়ে নেই। যেখানে চাঁদে যাওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত কাজে এখন মেয়েরা ছেলেদের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে সেরকম এইসব নগন্য দিক থেকেও তারা আসলে ছেলেদের থেকে কোনো অংশে কম নন।
পার্থক্যটা কেবল- ছেলেদের ব্যাপার গুলো প্রকাশ পায়, মেয়েদের টা ঢাকা পরে যায় কারণ কারণ মেয়েরা সেগুলি কখনোই জনসম্মুখে প্রকাশ করেননা। জোড় করেও প্রকাশ করানো যায়না যেমন- বেশি ঠান্ডায় স্নান না করা, জামাকাপড় না কেচে পড়া, বারবার ব্যবহৃত অন্তর্বাস উল্টে পরা এইসব আর কি।
এবার সকলেই জেনে নিন আপনার আশেপাশের যে সুন্দরী মেয়েরা ঘোঘুরঘুর করছে তারা কতটা অরুচিকর কাজ করতে পারে। তারা কতোটা অগোছালো জিবন যাপন করে থাকে বা কতোটা কেয়ারলেস হিসেবে জিবন যাপন করে থাকে।
১. প্রাক্তনকে উত্যক্ত করা:প্রাক্তনকে উত্যক্ত করা, যা স্টকার সিনড্রোম নামে পরিচিত। এই ধরনের মেয়েরা প্রাক্তনের বিভিন্ন দুর্বলতা বা অতীতের দুর্বল পয়েন্টগুলো মনে করে প্রাক্তনকে মনে মনে টিজ করা আর এক পর্যায়ে সরাসরিই প্রাক্তননের সাথে যগড়া লেগে যায়। শুধু প্রাক্তনকেই নয়, তার নতুন বান্ধবীকে উত্যক্ত করা, বান্ধবীর সমস্ত রকমের ডেটা বা তথ্য কালেকশন করে তাকে খোচা মেরে কথা বলা। প্রাক্তনকে মনে মনে টিজ করা।
২. গো’পনাঙ্গ শেভ করা: অনেক মেয়েরাই আছেন গোপনাঙ্গের লোম বড় রাখতে পছন্দ করে। আর সেই লোমওয়ালা গোপনাঙ্গ শেভ করে পরে তার অনুশোচনা করা। কারণ যখন গো’পনা’ঙ্গ শেভ করা হয় তা অল্প সময়ের জন্য মসৃন থাকলেও কিছুদিনের মধ্যেই তা চুলকানি সৃষ্টি করে। যা রাস্তাঘাটে মেয়েদেরকে বিপদে ফেলে দেয়। হাটতে গিয়ে দেখা যায় রাস্তাঘাটে অনেক মেয়ে চুলকানি সশুরু করে দেয়। চুলকানির এই মুহূর্তটাই মেয়েদেরকে অনেক লজ্জায় ফেলে দেয়। তও এতো কষ্ট সহ্য করেও বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গেলে মেয়েরা পুনরায় সেই কাজই করে।
৩. ব্রা: ব্রা মেয়েদের একটি নিত্য প্রয়োজনীয় একটি পরিধেয়। আর এটি মেয়েদের প্রতিদিনই ব্যাবহার করতে হয়। কেননা মেয়েরা রাস্তাঘাটে বের হলে তাদের স্তন যুগলকে মসৃন দেখাতে ও স্তনের আকার ঠিক রাখতে মেয়েরা ব্রা’র ব্যাবহার করে থাকেন। মেয়েরা মনে করেন ব্রা কখনো নোংরা হয়না আর এই কথার উপর বিশ্বাস রেখেই সেই নোংরা ব্রা’টি পরেই বের হয়ে যান। একটি বারের জন্য সেই ব্রা’টি না কেচে পুরনো সেই নোংরা ব্রা’টি পরেই বাহিরে বের হয়ে যান। অনেক ব্রা থাকলেও ওই ব্যবহৃত ব্রা টিই পরে বেরোন।
৪. চোখে জল: অনেক মেয়েই আছেন যারা একটু ডংগি টাইপের হয়। মেয়েরা চান যে কান্নাকাটি করার সময়েও তাকে যেন সুন্দরী দেখা যায়। কাঁদার সময়েও মেয়েরা বিভিন্ন ভাবে বারবার আয়নাতে দেখার চেষ্টা করেন যে তাদের ঠিক কিরকম দেখাচ্ছে। খুব বাজে লাগছে নাতো? আবার অনেকেই কাঁদার সময় নিজেদের সেলফিও তুলে রাখেন যাতে করে পরবর্তিতে দেখা যায় কান্নার সময় কেমন লেগেছিলো।
৫. ওয়াক্সিং অনুযায়ী পোশাক: আমরা জানি ওয়াক্সিং হলো হাত পায়ের অবাঞ্চিত লোম করার উপায়। যদিও বারবার ওয়াক্সিং করতে গেলে মেজাজ খারাপ হয়, তবে খুব প্রয়োজন এলেই তবে করতেও হয়। তাছাড়া ফুল প্যান্ট এবং গেঞ্জি তাই কাটিয়ে দেওয়া যায়। শীতকালে ওয়াক্সিং করা থেকে মুক্তি মেলে।
৬. মেয়েরাও নাক খোঁটে: নাক খোটা মানুষের একটি প্রকৃতিগত অভ্যাস। আর মেয়েরা মনে করে থাকে এটি মনে হয় শুধুমাত্র ছেলেরাই করে থাকে। চোখের সামনে কাউকে নাক খুঁটতে দেখলে মেয়েদের যেন গা ঘিনঘিন করে ওঠে, অথচ সুযোগ পেলে তারাও যে নাক খোঁটে তা খুব অস্বাভাবিক নয়। খুব সাবধানে যখন আশেপাশে কেও থাকেনা সেই সুযোগে মেয়েরাও নাক খুটে নেয়।
৭. পাবলিক ওয়াশরুম: পাবলিক ওয়াশরুম ব্যবহারের কথা অনেক মেয়েই স্বীকার করতে চাননা। ঘৃণা করেন। তবে কোনোকারণে ব্যবহার করে ফেললে পাশের রুমে কেও ঢুকলে মেয়েরা ততক্ষন পায়খানা চেপে রাখেন, পাশের রুম থেকে কেও বেরিয়ে গেলে তখন করেন। অস্বসস্তি বোধ করেন তারা। কিন্ত কখনো পাবলিক ওয়াশরুম ব্যাবহার করার এই কথাটি তারা স্বীকার করেননা।
৮. রোজ স্নান করেন না: কোনো মানুষই রোজ স্নান করেননা- এই ধারণা মাথায় রেখে মেয়েরাও তা করেননা। কিছুদিনের মধ্যে মাথা চুলকোতে শুরু করে, গায়ে গন্ধ ছাড়ে, মাথায় সাদা খুশকির পাহাড় জমতে থাকে – তখন ড্ৰাই শ্যাম্পু ব্যবহার করেই নিজেদের সান্তনা দিতে হয়। কিন্ত মেয়েদের এই এতো দিন গোসল না করার কথাটি তারা কারোও সাথে শেয়ার করেননা। গায়ে গন্ধ ছাড়লে বগল ধুয়ে পারফিউম লাগিয়ে নেন আবার শুধু মুখ ধুয়ে মেকাপ কিন্তু ঠিকই করে নেন। যেন পুরো ফ্রেশ লুক চলে আসে।
৯. অপছন্দের মানুষের সাথে মনে মনে ঝগরাঃ অপছন্দের মানুষের সাথে মনে মনেই ঝ’গড়া করতে শুরু করেন মেয়েরা। যাদেরকে ঘৃণা করেন, তাদের সাথে দেখা হলে কি কি ডায়লগ দেবেন বা কিভাবে ব্যবহার করবেন তার প্ল্যানিং আগে থেকেই চলতে থাকে মেয়েদের ম্যনের মধ্যে। এদের অপমান করার সুযোগ তারা ছাড়তে চাননা। আর অপরিচিতদের দেখলে মনে মনে এমন ঝগরা করে কিন্ত কথা বলতে গেলে এমনভাবে হাসি দেয় যে তাদের যুগ যুগ ধরে পরিচিত। মেয়েদের এই অবস্থা গুলো খেয়াল করে কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে আপনি কি মনে মনে আমায় কিছু বললেন, তখন তারা ডংগি স্টাইল নিয়ে বলে, কই কিছু নাতো! কিন্ত মনে মনে বিপরীতমূখি মানুষটিকে কিন্ত একেবারেই যাচ্ছে তা অবস্থা করে দিয়েছেন। আর এই বিষয়টি ও কখনো তারা প্রকাশ করেননা।
১০. সিনেমা দেখে কেদে ফেলাঃ রোম্যান্টিক সিনেমা দেখে প্রায় সমস্ত মেয়েই কেঁ’দে ফেলে। একটু কষ্টের বা ইমোশনাল সিন দেখলেই চোখের ভিতর যেন পানি আপনা আপনিই চলে আসে। বাইরে যতই কাঠিন্যতা দেখাক না কেন, কোনোরকম সিরিয়াস ইমোশনাল সিন্ দেখলেই মেয়েরা কেঁ’দে ফেলেন। কিন্তু তা স্বীকার করেননা।
উপরোক্ত বিষয়গুলো মেয়েরা সচরাচর করে থাকেন কিন্ত কখনোই তারা কারো সাথে এগুলা শেয়ার করেননা, প্রাকাশ্যেও আনতে চাননা। এই জগতে ছেলেরাই যে শুধুমাত্র অগোছালো তাই নয়। মেয়েরাও কিন্ত ছেলেদের মতোই এমন অগোছালো কিন্ত তাদের কার্যকলাপে এগুলা ধরা পড়েনা বলেই আমরা জানতে পারিনা