দু’সন্তানের মা। গৃহবধূ। বিয়ে হয়েছিল ১০ বছর আগে। সেই মহিলাই ননদের প্রেমে পড়ে শেষমেশ বিয়েও করলেন তাঁকে। এই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে বিহারের সমস্তিপুরে।শুক্লা দেবী। বয়স ৩২। স্বামীকে ছেড়ে এখন তিনি থাকেন বছর আঠারোর ননদ সোনি দেবীর সঙ্গে। তাঁকেই নিজের জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নিয়েছেন শুক্লা। ননদকে নিয়ে ঘর-সংসার শুরু করতেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁদের বিচ্ছেদের জন্য চাপ সৃষ্টি করছিলেন বলে অভিযোগ।
অবশেষে আইনি পথ ধরলেন শুক্লা। তিনি তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় তার স্ত্রীকে ‘অপহরণ’ করার অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি ননদ সোনি দেবীর বিয়েও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু সোনি নিজেই সেই বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন।
তিনি বিবাহিত দুই সন্তান আছে. তার পর ননদ কেন বিয়ে করলেন
সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের মুখে শুক্লার ফ্ল্যাট উত্তর, “স্বামী থাকলে কী হতো… যেখানে ভালোবাসা পাব সেখানেই থাকব, তাই না?” শুক্লার দাবি, ননদকে বিয়ে করার পর তিনি খুব খুশি। তাঁর কথায়, “আমরা একে অপরকে ভালবাসি। সনিও আমার ভালো যত্ন নেয়।”
সে কি মেনে নিতে পারে যে তার স্ত্রী তার ছোট বোনকে বিয়ে করছে? শুক্লার স্বামীকে সাংবাদিকরা এ প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তিনি যেখানেই ভালো আছেন, আমি তাতে রাজি। তারা একে অপরকে ভালবাসে. তারা নিজেদের মতোই জীবনযাপন করছে।” শুক্লার পরিবারের সূত্রের দাবি, দুজনের বিয়ের পর সোনি দেবী তার নাম পরিবর্তন করেছিলেন।
নতুন নাম সুরজ কুমার। চুল কেটে তার চেহারাও পাল্টেছে। এতে আপত্তি জানিয়ে সোনির পরিবারের লোকজন জোর করে তাকে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় হতবাক শুক্লা। এরপর তিনি পুলিশের কাছে গিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।