Breaking News

বাংলার রিচার হাত ধরে বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারাল ভারত,

দুর্বল বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের কারণে ম্যাচ প্রায় হাতের বাইরে চলে যায়। রান তাড়া করতে গিয়ে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর আউট হয়ে গেলে আরও চাপে পড়ে ভারত। মনে হচ্ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা হার দিয়েই শুরু করতে হবে। কিন্তু তা হতে দেননি রিচা ঘোষ ও শেফালি ভার্মা। তাদের জুটি নিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত।

দ্রুত ইনিংস খেলেন রিচা। শেষে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক বড় শট খেলেন তিনি। শিলিগুড়ির মেয়েটি আবারও দেখিয়ে দিল কেন সে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়দের একজন। জেমিমা তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন। চাপের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি।

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বিসমা। তবে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন ওপেনার জাভেরিয়া খান। উইকেট নেন দীপ্তি শর্মা। অপর ওপেনার মুনিবা আলী রান পাননি। শূন্য রানে সাজঘরে যান অভিজ্ঞ নিদা দার। ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

একদিকে ভালো খেলছিলেন ক্যাপ্টেন বিসমা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে আয়েশাও ছিলেন। দুজনেই শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের রানকে এগিয়ে নিয়ে যান। রেণুকা ঠাকুরের এক ওভারে বেশ কয়েকটি বড় শট খেলেন আয়েশা। সেখান থেকেই বদলে যায় খেলার গতি। শেষ ৯ ওভারে ভারতীয় বোলাররা করেন ৯০ রান।

পাকিস্তানের রান রেট বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে ভারত। ফিল্ডিংয়ে ভুল করতে থাকেন হরমনপ্রীত। আয়েশা ফসকান রাধাকে ধরে। ৪৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন বিসমা। শেষ পর্যন্ত 20 ওভারে 4 উইকেটে 149 রানে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস। অপরাজিত থেকে বিসমা ৬৮ ও আয়েশা ৪৩ রান করেন।

আঙুলের চোটের কারণে স্মৃতি মান্ধানা দলে না থাকলেও ভারতকে ভালো শুরু এনে দেন শেফালি ও জাস্তিকা। প্রথম বল থেকেই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলা শুরু করে তারা। পাওয়ার প্লে ব্যবহার করে দ্রুত রান তোলেন তিনি। কিন্তু পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ১৭ রান করে আউট হন জাস্তিকা।

অন্যদিকে শেফালী তার চেনা স্টাইলে খেলছিল। সুযোগ পেলেই বড় শট মারার চেষ্টা করছিলেন ভারতের ডানহাতি ওপেনার। কিছু ওভারে রান কম থাকায় রানের গতি বাড়াতে যান শেফালি। কিন্তু তিনি সফল হননি। ৩৩ রান করে আউট হন শেফালি। ছক্কা মারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাউন্ডারিতে তার ভালো ক্যাচ নেন আমিন।

শেফালি আউট হওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে ভারত। শুরু থেকেই বড় শট মারার চেষ্টা করছিলেন হরমনপ্রীত। মাঠে নামার পর রানের গতি বাড়িয়ে দেন তিনি। জেমাইমাও বড় শট খেলতে শুরু করেন। কিন্তু ১৬ রানের পর হারমন আউট হলে চাপে পড়ে ভারত।

সেখান থেকে দলকে টেনে আনেন জেমাইমা-রিছা জুটি। জেমিমা অনেকক্ষণ খেললেও ড্রেসিংরুম থেকে এসেছেন রিচা। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের বোলারদের নিয়ে খেলেছেন দুই ব্যাটসম্যান। একদিকে অনায়াসে বাউন্ডারি পার হচ্ছিলেন রিচা, অন্যদিকে ফিল্ডারদের ফাঁকে ছুটছিলেন জেমিমা। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত ফিল্ডিংয়ে ভুলও করে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত

About Shariful Islam

Check Also

জানা গেল নোরা ফাতেহির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ! চোখ কপালে নেটিজনদের

বলিউড অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নোরা ফাতেহি। ‘দিলবর’, ‘কোমারিয়া’, ‘ও সাকি সাকি’, ‘গারমি’সহ অনেক জনপ্রিয় গানে …