সন্তান জন্ম দেয়া যেন তেন কাজ নয়। একজন মা’ই জানেন একজন স্নতান জন্ম দিতে তাকে কতো কষ্ট করতে হয়, কতো নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়, কতো যন্ত্রনা সহ্য করতে হইয়। কষ্টের তীব্রতায় দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে কয় কখন বাচ্চার কান্নার শব্দ কানে এসে ঠেকবে। আহা কি যে শান্তি যখন এতো কষ্ট, তিতিক্ষার পর সন্তানের মায়া মাখা মুখখানি নিজের চোখে দেখতে পারে। মায়েরা সত্যিই পারেও বটে।
তবে, সেক্ষেত্রে যদি ঘটে অন্য রকম কিছু ঘটনা মানে যদি একই মায়ের গর্ভ থেকে একই সাথে আসে ৫ টি সন্তান। কি আনন্ধ মাখা শব্দ না? হ্যাঁ অবশ্যই আনন্দ মাখা। কেননা পৃথিবীতে কতো মায়েরা একটি সন্তানের মুখ দেখার আশায় জিবনের শেষ সময় পর্যন্ত লড়ে যায় সে যায়গায় একই সাথে ৫ টি ৭ টি সন্তান যেন তেন কথা নয়। তেমনিভাবে আজকের প্রতিবেদনটি সাদিয়া খাতুনের ৫ সন্তান প্রসব নিয়ে।
একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেওয়া গৃহবধূ সাদিয়া খাতুন কুষ্টিয়ার কুমাররখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী। তার পাঁচ নবজাতকের মধ্যে চারটি মেয়ে, একটি ছেলে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ-ছয় মাসের মাথায় সাদিয়া খাতুন সন্তান প্রসব করেছেন।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি এলাকার সাদিয়া খাতুন (২৪) নামে এক অ’ন্তঃস’ত্ত্বা একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। পাঁচ শি’শুর মধ্যে একটি ছেলে ও চারটি মেয়ে। ওই নারী এবারই
প্রথম সন্তান জ’ন্ম দিলেন। প্রসূ’তি মা সাদিয়া খাতুন সুস্থ থাকলেও বাচ্চাগুলোর ওজন কম হওয়ায় তারা স্বাস্থ্যঝুঁ’কিতে রয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নরমালভাবেই এ পাঁচ সন্তান
প্রসব করেন ওই গৃহ’বধূ। সাদিয়া খাতুন কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী। সোহেল রানা বলেন, সোমবার (০১ নভেম্বর) রাতে সাদিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। মঙ্গলবার সকালে সে পাঁচটি সন্তান প্র’সব করে।
পাঁচ সন্তানের মধ্যে চারজন মেয়ে ও একটা ছেলে। তবে গর্ভধা’রণের ছয় মাসের মাথায় এ সন্তানগুলো প্রসব করে সে। যার কারণে বাচ্চাগুলোর ওজন কম। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও)
ডা. আশরাফুল আলম জানান, একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম একটা বির’ল ঘটনা। সময়ের আগে জন্ম হওয়ায় শিশুগুলোর ওজন এবং শারীরিক পূর্ণতা আসেনি। যাদের ওজন ৫শ থেকে ৬শ গ্রামের মধ্যে। তাদের স্বা’স্থ্যঝুঁ’কি
থাকায় আমরা চেষ্টা করছি সু’স্থ করতে। বর্তমানে তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প’রামর্শ দিয়েছি।