মার্ভেলের যেমন মার্ভেল ওয়ার্ল্ড, তেমনই যেন বাংলা ধারাবাহিকগুলো নিজেদের একটা ওয়ার্ল্ড তৈরি করে ফেলছে। আর সেটা কি দর্শকদের নজর এড়িয়ে যেতে পারে? না একদমই নয়। যেমন একটা জগৎ গড়ে উঠেছে, মিঠাই, হরোগৌরী পাইস হোটেল আর গাঁটছড়ার মধ্যে। এরকমই দর্শকরা মিল খুঁজে পেল মিঠাই , গাঁটছড়া ও অনুরাগের ছোঁয়ার মধ্যে।
আসলে সিরিয়ালগুলোকে সবসময়ই খুব প্রতিযোগিতামূলক বাজারে থাকতে হয়েছে। এমন অনেক দিক আছে যা নির্মাতাদের একটি সিরিজ তৈরি করার সময় যত্ন নিতে হয়, যা সাধারণত ওয়েব সিরিজ বা সিনেমার ক্ষেত্রে যত্ন নেওয়া হয় না। প্রতিযোগিতার বাজারে যদি প্লট মেলা শুরু হয় তাহলে ভাবুন কী হবে?
এই যেমন দর্শকরা বেশ খেয়াল করেছে গাঁটছড়, হরগৌরী পাইস হোটেল, মিঠাইতে কী মিল আছে। দর্শকরা ভাবছে এভাবে প্লট মিলে যাওয়া কী নিতান্তই কাকতালীয়? নির্মাতারা কী ভেবেছিলেন একটা দর্শকদের চোখের আড়াল হয়ে যাবে?
না, বরং দর্শকদের নজর কেড়েছে আগেই। একের পর এক প্রশ্ন করছেন তারা। প্রথমত এই তিনটি সিরিয়ালের গল্প এই মুহূর্তে এক।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন তিনটি সিরিয়ালের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। একদিকে জি বাংলার মিঠাই, অন্যদিকে স্টার জলসার অন্য জনপ্রিয় সিরিয়াল হরগৌরি পাইস হোটেলের বড় ছেলে প্রভাকর, আরেক স্টার জলসার আরেকটি সিরিয়ালে গানচারা খড়ির নায়িকা।
আর এবার আরও একটি মিল খুঁজে পেলেন দর্শকরা। যদিও তারা এতে বেশ খুশি। কারণ ধারাবাহিকে এরই মধ্যে গল্পের গরু আকাশে উড়ে গেছে। খুব সাধারণ ঘরের একটি মেয়ে, যে হয়তো ভালো পড়াশোনা করেনি, হঠাৎ করেই ডাক্তার, আইনজীবী বা মহাকাশচারী হয়ে যায়।
তবে শেষ পর্যন্ত নায়িকা যা ছিল তার মাধুর্য, মোহনীয়তা আর স্নেহের ছোঁয়ায়। মিঠাই ছিলেন ময়রা, খারি ছিলেন শিল্পী এবং দীপা ছিলেন ফুল বিক্রেতা। তিনটি সিরিয়ালের নির্মাতা ও লেখকরা তাদের শিকড়কে সুন্দরভাবে আটকে রেখেছেন, ভুল না করে।