সৃষ্টির শুরুতেও কোন কিছু ফ্রী ছিলনা। যার ফলে বিনিময় প্রথা চালু হয়েছিলো এবং সেটাই বর্তমান চলমান রয়েছে। আমরা পৃথিবীতে আসি কিছু শর্ত নিয়ে। যেমন একজন মুসলিম এর ক্ষেত্রে, তাকে সময় মত নামাজ পড়তে হবে, রোজা রাখতে হবে, জাকাত দিতে হবে আরও বেশ কিছু কাজ আল্লাহ্তালা আগে থেকেই ঠিক করে দিয়েছেন।
যদি আমরা তার কথা মেনে চলি তাহলে আমরা আখিরাতে জান্নাত পাব আর যদি না মানি জাহান্নাম পাব। অর্থাৎ জান্নাত ফ্রী পাচ্ছিনা এমনকি জাহান্নামটাও ফ্রী না। যেখানে মহান রাব্বুল আলামিন সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা জান্নাত ফ্রী দিবে না সেখানে আমরা তার তৈরী মানুষ কেন ফ্রী খুজতে যাই। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম মা।
মা হচ্ছেন একজন পূর্ণাঙ্গ নারী, যিনি গর্ভধারণ, সন্তানের জন্ম তথা সন্তানকে বড় করে তোলেন – তিনিই অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম ও মা হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। প্রকৃতিগতভাবে একজন নারী বা মহিলাই সন্তানকে জন্ম দেয়ার অধিকারীনি।
গর্ভধারণের ন্যায় জটিল এবং মায়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অবস্থানে থেকে এ সংজ্ঞাটি বিশ্বজনীন গৃহীত হয়েছে। আব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন. ” যার মা আছে সে কখনোই গরীব নয়”। এই মা্’ই হলো পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক যেখানে আমরা আমাদের সকল দুঃখ, কষ্ট জমা রাখি! বিনিময়ে নেই বিনাসুদে অকৃএিম ভালোবাসা।
পৃথিবীতে সবাই তোমাকে ভালোবাসবে, সেই ভালোবাসার মাঝে যে কোনো প্রয়োজন লুকিয়ে থাকে। কিন্তু সবার জীবনে একজন আছেন যিনি কোনো প্রয়োজন ছাড়াই তোমাকে ভালোবাসবে সে হলো মা। মা মানে আদর, মা মানে শান্তি, মা মানে ছায়া।
মা এর ভালোবাসা এর মধ্যে কোনো ভেজাল নেই, নেই কোনো মলিনতা। যেকোনো পরিস্থিতি হোক না কেন মায়েরা সবসময় তাদের সবকিছু বিলিয়ে দেয়। নিঃস্বার্থ ভালোবাসা একমাত্র মা ব্যতীত এই দুনিয়ায় পাওয়া যায় না। স্বার্থের শেষ চূড়ায় থাকে গভীর ভালোবাসা। কিন্তু মায়ের বেলায় থাকে সীমাহীন নিঃস্বার্থতা।
জীবনের শুরু থেকে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তার পাশে থাকা চাই। জন্মদাত্রী মায়ের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা চিরদিনের। সন্তান ও মায়ের বন্ধন আমৃত্যু, শ্বাশত। আল্লাহ তাঁর পবিত্র কুরআনে বলেছেন ”
মা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে আপনজন । মা এর চেয়ে আপনজন এই পৃথিবীতে আর কেউ হতে পারে না। পৃথিবীতে তোমার হাজার হাজার বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী থাকবে, কিন্তু সবশেষে তুমি একজন মানুষকেই খুজে পাবে, যাকে তুমি শত আঘাত দেওয়ার পরেও সে শুধু তোমার ভবিষ্যত নিয়েই ভাবে, আর তিনি হলেন মা। সর্বপরি মা হচ্ছে সন্তানের আদর্শ বিদ্যা নিকেতন। মায়ের আদর অতুলনীয়।
তাই আমাদের সকলের উচিৎ মাকে নিয়ে ভাবা। মায়ের ভালো লাগা মন্দ লাগা নিয়ে কিছু করা । মা থাকতেও তাকে দূরে সরিয়ে রাখা অনেকটা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা না বোঝার মতো। যার মা পৃথিবীতে নেই, সে যে কতটা অসহায় তার বর্ণনা করে বোঝানো যাবে না।
তাই কৃত্রিমতা নয় মা’কে ভালবাসতে হবে হৃদয়ের একান্ত গহীন থেকে। ভালবাসতে হবে একদিনে জন্য নয়: বরং প্রতিদিন ও সার্বক্ষণিক ভাবে। যেভাবে মা ভালোবেসে আমাদের বড় করে তুলেছেন ঠিক সেভাবেই তাকে ভালোবাসতে হবে সারা জীবন। আর যাদের মা নেই তাদের কর্তব্য হলো মা’য়ের জন্য দোয়া করা
এটা আরবী না, এটা বাংলা না, এটা ইংরেজী না। এটা পৃথিবীর তাবৎ পিতা মাতার জন্যে সন্তানদের পক্ষ থেকে এক শ্রেষ্ঠ প্রার্থনা। এটা সন্তানদের অন্তরের কথা। হৃদয়ের কথা। এটা প্রকাশ করার জন্যে কোন নির্দিষ্ট ভাষা জানার প্রয়োজন নেই। এটা কোরানের কথা হোক, এটা গীতার কথা হোক, এটা বাইবেলের কথা হোক- এটা সকলের অন্তরের কথা।
অনেক ব্যথা যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় মেয়েদের সন্তান জন্ম দেওয়ার সময়। এটা মানা হয় যে, যখন একজন মহিলা তার সন্তানের জন্ম দেয় তখন তার দ্বিতীয় জন্ম হয় এবং কঠোর যন্ত্রণা ভোগ করার পর যখন তার বাচ্চা তার কোলে আসে, তখন সে তার সমস্ত ব্যথা ভুলে যায়।
এটা সত্যিই যে একটি শিশুকে, যখন তার জন্মের পর তার মায়ের কাছে রাখা হয়, তখন সে তার মায়ের কাছে ভালোবাসার বন্ধনে আটকে যায় এবং তাকে ছেড়ে যায় না। ঠিক এরম একটি শিশু জন্মের পর তার মাকে প্রথম দেখেই নিজের করে নিয়েছে। জন্ম গ্রহণ এর পর যখন শিশু টিকে তার মায়ের কাছে দেওয়া হয়
তখন ওই সদ্য জাতো জন্ম গ্রহণ করা বাচ্চা টি কিছুতেই তার মাকে ছাড়তে চায় ছিল না, নিচে ভিডিও দেওয়া হয়েছে ভিডিও টি দেখে হয়তো আপনি ও বলবেন এটা কলিযুগের বাচ্চা,সব কিছু আগে থেকেই তার মধ্যে রয়েছে কোনটি তার মা কোনটি তার বাবা কারা তার আপন জন ইত্যাদি।