বদলে যাচ্ছে নৈহাটি ফেরিঘাটের নাম। নৈহাটি ছাড়িয়ে রাজ্য তথা দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে অন্যতম আকর্ষণ নৈহাটির ঐতিহ্যবাহী বড়মার নামে হাতে চলেছে ফেরিঘাটের নাম। যা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে ইতিমধ্যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে নৈহাটি ফেরিঘাট সংস্কারের কাজ। সেই কাজ শেষ হলেই নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করবে নৈহাটি ফেরিঘাট।
ফেরি সার্ভিস শহরের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৈহাটি ফেরি ঘাট। যার উল্টো দিকে চুঁচুড়া ফেরি ঘাট। এ দুটি ফেরি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। নৈহাটি ফেরি ঘাটের দিকে যাওয়ার রাস্তাটি হল অরবিন্দ রোড। সেই রাস্তাতেই নৈহাটির বড়মা মন্দির। সেখানে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ ভিড় করে।
নৈহাটির মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বড়মার নামে ফেরিটির নামকরণ করা হোক। জনগণের দাবি মেনে নিয়ে নৈহাটি ফেরি ঘাটের নাম পরিবর্তন করে ‘বারমা ফেরি সার্ভিস’ হতে চলেছে। যার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। সম্প্রতি নৈহাটি পৌরসভার বোর্ড সভায় ফেরিঘাটের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব পাস হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়মার নামে ফেরির নামকরণের প্রস্তাবের অনুলিপি পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর কাছে পাঠানো হয়েছে। নৈহাটির মেয়র অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বর্মার নামের সঙ্গে মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। সেই অনুভূতি স্বীকার করে আমরা নৈহাটি পৌরসভার পক্ষ থেকে আমাদের বিধায়ক ও সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি।
তার নির্দেশে আমরা বিষয়টি পরিবহনমন্ত্রীকে জানিয়েছি। মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, পৌরসভার বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নৈহাটি ফেরি ঘাটের নাম পরিবর্তন করে বড়মা ফেরি সার্ভিস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত পরিবহনমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।’
এ দিকে নৈহাটি ফেরি ঘাটটি দীর্ঘদিন পুরাতন হওয়ায় জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। নগর প্রশাসন জানায়, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ফেরি বন্দর তৈরি হয়ে যাবে।
বড়মা মন্দির কমিটির সেক্রেটারি তাপস ভট্টাচার্য বলেন, ‘বর্মার মন্দির এবার শতবর্ষ উদযাপন করছে। নৈহাটি ফেরি ঘাটের নাম পরিবর্তন করে বড়মা করার উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়।