খাবার খেতে আসা ব্যক্তির কলার ধরে হিড়হিড় করে টেনে বের করে দিলেন নন্দিনী দিদি!

প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। কিন্তু এই মুহূর্তে যিনি একাই বাজার কাঁপাচ্ছেন তিনি হলেন ‘নন্দিনী দিদি’। যদিও তার আসল নাম মমতা গঙ্গোপাধ্যায়, তিনি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডালহৌসি স্পেসে নন্দিনী দিদি নামে পরিচিত। অফিস পাড়ায় বাবা-মায়ের সঙ্গে পায়েস হোটেল চালান।

গত দুই বছর ধরে ওই এলাকায় ভাতের হোটেল চালাচ্ছেন নন্দিনী দিদি। কিন্তু সম্প্রতি ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছেন তিনি। এবং তারপর থেকে, দোকান পরিবর্তন হয়েছে. নন্দিনী দিদি সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ান এ এসেছে। সেখানে তিনি জানান, এক মাস আগেও ৩০ জনের খাবার রান্না করতেন। খুব বেশি 20 জন হয়ে যেত। কিন্তু ভাইরাল হওয়ার পর তার 50-70 ফলোয়ার রয়েছে।

তবে ভাইরাল হওয়ার তাগিদও কম নয়। প্রশংসার পাশাপাশি তার সমালোচনাও কম নয়। ভিডিওতে অনেকে নন্দিনীকে নানাভাবে বদনাম করার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি, একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে নন্দিনী দিদিকে এক ব্যক্তিকে মারধর করতে দেখা যাচ্ছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, নন্দিনী একজনকে কলার ধরে টেনে নিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। ভিডিওটির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভাইরাল দিদির ‘আসল’ স্বভাব নিয়ে অনেকেই মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। তবে আসল ঘটনা জানা যাবে শিগগিরই।

আসলে ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় দোকানে আসেন। নন্দিনী অন্য লোক থাকায় এবং তার অবস্থা দেখে তাকে খাবার দিতে অস্বীকার করে। কিন্তু নন্দিনী দিদি এই ঘটনা ঘটান যখন ওই ব্যক্তিও জোর করে টেবিলে গিয়ে পড়তে বসে।

প্রসঙ্গত, নন্দিনী দিদি জানান, দিদি নাম্বার ওয়ানে আসার আগে তাদের আর্থিক অবস্থা বেশ ভালো ছিল। ব্যবসা ছিল বাবার। নিজে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ছোট দুই বোন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। কিন্তু নোটবন্দির সময় সব বদলে গেল।

নন্দিনীর বাবার ব্যবসা বন্ধ। বাড়ি বিক্রি করতে হবে। হাত পড়ল মায়ের গয়নাতে। অবশেষে নন্দিনীর বাবা দৈনিক ২০০ টাকায় ডালহৌসিতে চাকরি নেন। তিনি নিজেই কলকাতার বাইরে চাকরি পেয়ে চলে যান। এদিকে নন্দিনী জানান, তার বাবা ভাতের হোটেল খুলেছেন। কিন্তু হঠাৎ মা অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি চাকরি ছেড়ে কলকাতায় ফিরে আসেন। বাবার পাশে দাঁড়াতে ওই ভাতের হোটেলে কাজ শুরু করেন।

About Shariful Islam

Check Also

Viral video : মদের নেশায় বুঁদ এক ব্যক্তি, তেড়ে গেলেন একজোড়া কুমিরের দিকে, তারপর যা হল

বর্তমান যুগে আট থেকে আশি মানুষ কোনো না কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন। ধীরে …