টলিউডের সবচাইতে চর্চিত নায়িকার মধ্যে তিনি অন্যতম। তবে এখন তিনি টলিউডের সেক্সি মাম্মা হিসেবেও পরিচিত! গতবছর অগাস্টেই পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন তিনি। আর সেই নিয়েই নায়িকাকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে অভিনেত্রী-সংসদ নুসরত জাহানকে নিয়ে। গতবছর থেকেই একাধিক সমালোচনায় আবৃত নুসরত জাহান। তাঁর, স্বামী নিখিল জৈনর সঙ্গে সাংসারিক বিচ্ছেদ, অভিনেতা যশের আগমন অভিনেত্রীর জীবনে, হঠাৎ গর্ভবতী হয়ে যাওয়া, সবটাই অভিনেত্রীর জীবনকে একাধিক আলোচনায় জরিয়ে রেখেছিল। নিখিলের সঙ্গে বিচ্ছেদের অনেকদিন পরে গর্ভবতী হয়েছিলেন নুসরত, তাঁর সন্তানের পিতার নাম কি সেটাই ছিল অভিনেত্রীকে নিয়ে সমালোচনার একমাত্র বিষয়!
তবে কোনও কিছুকেই গুরুত্ত দেননি অভিনেত্রী, বরং গর্ভাবতী অবস্থাও একাধিক ফটোশ্যুট, ভিডিও করে তিনি নায়িকা। তবে তাঁর পাশে সর্বদা ছিলো যশ । পরে অবশ্য তাঁর সন্তান ঈশানের জন্মের পর খাতায়-কলমে প্রমাণিত হয়ে যায় যে, ঈশানের বাবা যশ দাশগুপ্ত। যাই হোক, এইসব অতীত এখন। সংসার, সন্তান, ক্যারিয়ার একসঙ্গে সামলাচ্ছেন নায়িকা। তবে ঈশানের মুখ এখনও তিনি প্রকাশ্যে আনেননি। ছেলের জন্মের ১৩ দিন পরেই কাজে ফিরেছেন তিনি। তাঁর হাতে এখন একাধিক প্রজেক্টের কাজ, যশের সঙ্গেও একটি ছবি করছেন তিনি। সম্প্রতি নুসরতের একটি নজরকাড়া ভিডিও ভিডিও দেখে চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে গিয়েছে নেটিজেনদের।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, নুসরত প্রথমে একটি লাল রঙের টি-শার্টে নিজেকে মুড়িয়েছেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি ক্যামেরার সামনেই পোশাক বদলে এক্কেবারে অন্য অবতারে ধরা দিয়ে নেটিজেনদের রীতিমতো ভিরমি খাইয়ে দিলেন। যা একেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেটমাধ্যমে। কেউ কেউ চমকে গিয়ে লিখেছেন, ‘এটা কী! কী করছেন আপনি!’ আসলে প্রথমে লাল বর্ণের একটি সাধারণ পোশাক পরে থাকলেও পরে তিনি ক্যামেরার সামনেই বদলে ফেলে লাল বর্ণের সুন্দর একটি ব্লেজার, ট্রাউজারের সেট পরে এলেন। যেখান তাঁর ন্যুড মেকআপ লুক দেখেই ঘুম উড়েছে সবার। অত্যন্ত সেক্সি এবং সুন্দরী দেখাচ্ছিল নুসরত কে।
সম্প্রতি নিজের সংসদীয় এলাকা বসিরহাটে গিয়েছিলেন নুসরত। উপলক্ষ বসিরহাট কলেজের ৭৫তম জন্ম জয়ন্তী। সেখানে তিনি উপস্থিত হয়ে সকল কলেজ পড়ুয়াদের অনুরোধে গান গাইলেন। প্রিয় অভিনেত্রীর গলায় গান শুনে আপ্লুত গেলেন কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও। এবিষয়ে নুসরতকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মানুষজনের ভালো লাগা এবং বাচ্চাদের ভালো লাগার জন্যে তিনি গান গান, তবে তাঁর খুব একটা ভালো লাগে না গান।
সঙ্গে জানান, “আমি এই কলেজের সভাপতি, তাই গর্বের জায়গা থেকেই বলছি, এখানে ৭ বছর আগেও অনুষ্ঠান করতে এসেছিলাম, এখানকার মানুষের কাছে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। সেই ঋণ আমার শোধ করার পালা। আমি চাই কলেজের আরও উন্নতি হোক। এই কলেজে আমরা প্রথমদিকে যেভাবে দেখেছিলাম, ঈশ্বরের কৃপায় এই কলেজকে উন্নত জায়গায় পৌঁছে দিতে পেরেছি। বসিরহাট কলেজেকে আমরা যেন আরও উন্নত জায়গায় পৌঁছে দিতে পারি, এখানকার কলেজে ছাত্রছাত্রীরাও যেন আরও উন্নতি করে। নিজের জীবনে অনুপ্রাণিত হয়, প্রতিষ্ঠিত হয়।