‘কিং খানকে আতিথেয়তায় এ প্লাস দিতে হবে। কথা বলার সময় ক্যামেরা পারসন থেকে প্রতিটি ক্রুর যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে শাহরুখ কোনও কসরত রাখেননি। সবাইকে সঠিক সময়ে চা পরিবেশন করা ছাড়াও বিভিন্ন স্ন্যাকস ছিল। শাহরুখ শুটিংয়ের আগে প্রতিটি ক্রু সদস্যের নাম জেনেছেন এবং কারও নাম কখনও ভুলে যাননি।’
কিংবদন্তি পরিচালক যশ চোপড়া এবং তাঁর যশ রাজ ফিল্মসের উত্তরাধিকার নিয়ে ‘দ্য রোমান্টিকস’ তৈরি করেছেন পরিচালক স্মৃতি মুন্ধরা। যে ডকু-সিরিজটি সম্প্রতি প্রচলিত আছে। আর এই ডকু-সিরিজটির জন্য পরিচালক স্মৃতি অমিতাভ বচ্চন, মাধুরী দীক্ষিত, আমির খান, ঋষি কাপুর এবং শাহরুখ খান থেকে শুরু করে বলিউডের শীর্ষ তারকাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। এমনকি যশের ছেলে আদিত্য চোপড়া, যিনি বর্তমানে যশ রাজ ফিল্মসের নেতা, তিনিও বাদ যাননি।
নেটফ্লিক্সের ‘দ্য রোমান্টিকস’-এর জন্য অনেক তারকাদের বাড়িতে গিয়ে শুটিং করতে হয়েছিল স্মৃতি মুন্ধরাকে। তাদের মধ্যে ‘কিং খান’ শাহরুখও রয়েছেন। ‘বাদশা’-এর ‘মান্নাত’ দেখে মুগ্ধ হন স্মৃতি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন পরিচালক। তাঁর কথায়, ‘কিং খানকে আতিথেয়তায় এ প্লাস দিতে হয়। কথা বলার সময় ক্যামেরা পারসন থেকে প্রতিটি ক্রুর যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে শাহরুখ কোনও কসরত রাখেননি।
সবাইকে সঠিক সময়ে চা পরিবেশন করা ছাড়াও বিভিন্ন স্ন্যাকস ছিল। শাহরুখ শুটিংয়ের আগে প্রতিটি ক্রু সদস্যের নাম শিখেছিলেন এবং কারও নাম কখনও ভুলে যাননি। সবাইকে যে কোনো নামে ডাকতেন। কাজ শেষে করমর্দন করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। শাহরুখ প্রত্যেক শিল্পীকে তাদের শৈল্পিকতার জন্য সম্মান করেন। এটা আমার জন্য সত্যিই শিক্ষণীয় ছিল…’
প্রসঙ্গত, ডকু-সিরিজ ‘দ্য রোমান্টিকস’-এর জন্য আদিত্য চোপড়াকে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে এনে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন পরিচালক স্মৃতি মুন্ধরা। যশ রাজ ফিল্মসের নেতা হওয়া সত্ত্বেও আদিত্য যে ক্যামেরার সামনে একেবারেই সাবলীল নন তা সবাই জানেন। তারপরেও আদিত্য এই ডকু-সিরিজের জন্য কথা বলেছেন। বলেন, শৈশব কেটেছে বাবা যশরাজের সঙ্গে, শিখেছেন চলচ্চিত্র নির্মাণ।
স্মৃতি মুন্ধরা জানিয়েছেন, এই ডকু-সিরিজে নিজের ভূমিকার প্রয়োজনীয়তা বুঝেই ক্যামেরার সামনে আসতে রাজি হয়েছেন আদিত্য। প্রয়াত অভিনেতা ঋষি কাপুরের শেষ সাক্ষাৎকার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে স্মৃতি বলেছিলেন যে সৌভাগ্যবশত তার মৃত্যুর আগে ঋষি কাপুরজির সঙ্গে কথা হয়েছিল। স্মৃতির কথায়, ‘তখন কে জানত যে এটাই হতে চলেছে ঋষি কাপুরজির শেষ সাক্ষাৎকার।’