বাংলা ছবির টলিলক্ষ্মী কথাটা তাঁর নামের আগে একশো ভাগ খাটে। দশকের পর দশক তিনি নায়িকা রূপে সম্পূর্ণা। তাঁর নামেই ছবি দেখতে সিনেমাহল হাউসফুল করে দর্শকরা।
বক্সঅফিসে লক্ষ্মী লাভ তাঁর নামেই হয়। সে আর্টফিল্ম হোক কিংবা কর্মাশিয়াল, সব ধারাতেই তিনি অনন্যা। তিনি টলিকুইন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
১৯৭১ সালের ৭ নভেম্বর, কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন ঋতুপর্ণা। বাবা প্রবীর সেনগুপ্ত পেশায় চাকুরীজীবী ছিলেন। ছোটো থেকেই ঋতুপর্ণার গ্ল্যামার জগতের উপর ছিল অমোঘ টান।
কলকাতার কারমেল হাই স্কুল থেকে তার স্কুলিং শেষ করেন । উচ্চ শিক্ষার জন্য, তিনি ভারতের কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
এম এ নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও পরে ড্রপআউট করেন। ঋতুপর্ণা তার কর্মজীবনে টেলিভিশন সিরিয়াল, হিন্দি চলচ্চিত্র, বাংলা চলচ্চিত্র,
কন্নড় চলচ্চিত্র, তেলেগু চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। সবথেকে বেশী সফল তিনি টলিউডেই হয়েছেন। অভিনেতা কুশল চক্রবর্তীর ঋতুপর্ণার কেরিয়ারের পেছনে বড় হাত রয়েছে। ১৯৯২ সালে শ্বেত পাথরের থালা ছবি দিয়ে টলিউডে আত্মপ্রকাশ।
১৯৯৪ সালে অভিনেতা চিরঞ্জিতের বিপরীতে লাল পান বিবি ও প্রসেনজিতের বিপরীতে নাগপঞ্চমী তার কেরিয়ারের অন্যতম মাইলফলক। এরপর একে একে শেষ চিঠি, সংসার সংগ্রাম, সুজন সখী, মায়ার বাঁধন, পবিত্র পাপী, স্বামী কেন আসামী, তোমাকে চাই, বাবা কেন চাকর, প্রাণের চেয়ে প্রিয় ইত্যাদি ইত্যাদি ছবি করেছে। সেইসময় ১৯৯৪ সালে ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় দহন ছবি করে জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। ১৯৯৯ সালে ‘খেলাঘর’ অন্যতম ছবি, যা কলকাতার এলিটবর্গীয় মানুষদের মনে ধরেছিল।
কর্মজীবনে শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ, তুমি এলে তাই এর মতো একাধিক মশলা সিনেমা যেমন করেছেন, অন্যদিকে আলো, চাঁদের বাড়ি, পারমিতার একদিন, চারুলতা, তৃষ্ণার মতো ছকভাঙা ছবিও করেছেন। ২০০ র বেশী ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
বলিউডে করেছেন মোহিনী, তিশরা কাউন, দাদাগিরি, শিয়াল, আলাপের মতো ছবি। কো স্টার হিসেবে পেয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তীকে, অমল পালেকরের মতো অভিনেতাদের। বর্তমানে খুব বেছে ছবি করেন তিনি। অভিনয় আর সামাজিক কাজকর্ম নিয়েই কাটছে তাঁর। স্যোশাল মিডিয়ায় যথেষ্ট সক্রিয় অভিনেত্রী।