Breaking News

সর্বোচ্চ দামে কমল সোনার দাম, ২২ ও ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণে কমলো ১১৬৫০ টাকা

বেশ কিছুদিন ধরেই কমতে দেখা যাচ্ছে সোনার দাম। এর জন্য নতুন করে আশার আলো দেখছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। গতবছর লকডাউনে করোনার মধ্যে পাকা সোনার দাম পৌঁছে গিয়েছিল ৫৭ হাজারের কাছাকাছি। গত বছরের আগস্টে সোনার দাম হয়েছিল ৫৬,২০০ টাকা।

এত সোনার দাম হয়ে যাওয়ায় কার্যত মাথায় হাত পড়ে গিয়েছিল ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সবাই দেরই। তবে এ বছর ধরা পড়ছে একেবারে অন্য ছবি উৎসব এবং বিয়ের মৌসুমে আরো একবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে স্বর্ণ ব্যবসা। এক বছরের মধ্যেই সোনার দাম কমে এসেছে প্রায় ১০ হাজার টাকা।

পাকা সোনার দাম নিচে নেমেছে অনেকটাই। বর্তমানে ২২ ক্যারেট সোনার দাম ৪৪ হাজারের ঘরেই রয়েছে।

রেকর্ড দর ৫৬,২০০ থেকে ১১,৬৫০ টাকা কমল সোনার দাম। কলকাতায় ২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৪,৫৫০ টাকা। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দাবি, ইতিমধ্যেই সোনার কেনা কাটা বাড়তে শুরু করেছে। শুধু বিয়ের কেনাকাটাই না, ক্ষুদ্র গয়না কিনে ভবিষ্যতের জন্য কেনার প্রবণতা বেড়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা আশা করছেন উৎসবের মরসুমে পুরোপুরি ঢুকে পরার পরে আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি করতে পারে সোনার।

বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, করোনার পরেই বিশ্বজুড়ে আর্থিক ডামাডোলের মধ্যে লগ্নির প্রধান ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল এই স্বর্ণ ব্যবসা। শেয়ার বিদেশি মুদ্রা বাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা প্রায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। সেনসেক্স কত বছর মার্চে নেমে গিয়েছিল ২৫ হাজারের ঘরে। তারপর সুরক্ষিত লগ্নি হিসেবে পরিচিত সোনার রেকর্ড দৌড়। ভারতের শেয়ার সূচক সেন্সেক্স পরের হাত ধরে ইতিমধ্যেই ৫৯ হাজার ঘর পেরিয়েছে। তবে ভারত আবারো দ্রুত ছন্দে ফিরবে বলে আশা করছেন তাঁরা। সোনার লগ্নি দ্রুত কমায় দাম কমছে সোনার ও।

পণ্যের বাজার নিয়ে গবেষণাকারী সংস্থা ভিস্তা ইন্টেলিজেন্স-এর এমডি অরিন্দম সাহার কথায়, ‘‘এখন ভারতে চাঙ্গা শেয়ার বাজার টানছে দেশি এবং বিদেশি লগ্নিকারীদের। বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ডলারের দাম। আমেরিকার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত পেয়েছেন লগ্নিকারীরা। এ সবের ফলে লগ্নির ক্ষেত্র হিসেবে কমছে সোনার জৌলুস। তাই বিশ্ব বাজারে দ্রুত কমছে তার দর। তাল মিলিয়ে ভারতেও।

জেমস এন্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আশীষ পেথে বলছেন, ‘‘চড়া দামের ছেঁকায় যাঁরা গয়না কিনতে পারছিলেন না, তাঁরা এ বার বাজারমুখো হবেন বলে আশা। সামনেই দূর্গা পুজো, ধনতেরস, দিওয়ালি। তার পরে বড়দিন ও নতুন বছর। সামনের মরসুম ব্যবসায়ীদের ভালই কাটবে মনে হচ্ছে।

স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি সমর দে বলছেন, ‘‘আগামী মাস থেকে বিয়ের মরসুম শুরু। সোনার দাম কমার সুযোগ নিতে শুরু করেছেন ক্রেতারা। অতিমারির আবহে কারিগরেরাও স্বস্তি পাচ্ছেন। গত বছর তাঁদের অনেকেই রোজগারহীন হয়ে পড়েছিলেন।

About Shariful Islam

Check Also

নিঃসন্তান মায়ের কোলে ঠাঁই পেল পরিচয়হীন নবজাতক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পরিচয়হীন পরিত্যক্ত এক নবজাতককে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার কালিকাডোবা …