Breaking News

যে লক্ষন গুলো দেখলে মেয়েদের যমজ সন্তান হওয়ার প্রবনতা ৯০% থাকে , এটি প্রমাণিত ও পরিক্ষিত , বিস্তারিত প্রতিবেদনে

প্রতিটি মেয়েই মাতৃত্বের স্বাদ অনুভব করতে চায়। একটি মেয়ের জীবনের উদ্দেশ্য একটি সন্তানের জন্ম দিয়ে পূরণ করা উচিত। সন্তান প্রসব করা ছাড়াও আরও কিছু কারণ রয়েছে যা সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য দায়ী। একটি শিশুর জন্ম হয় কারণ সেই সমস্ত কারণ সেখানে রয়েছে। এ ছাড়া যমজ সন্তান নিয়ে আমরা কৌতূহলী।

যেহেতু যমজ দেখতে একই রকম এবং তাদের কার্যকলাপ প্রায় একই রকম, তাই আমরা সবসময় তাদের সম্পর্কে কৌতূহলী থাকি।

তবে এই যমজ সন্তানের জন্মের জন্য, এই জাতীয় বেশ কয়েকটি কারণ আগে থেকেই ঠিক করা হয়। শুধু যমজ নয়, যেকোনো ধরনের শিশু, অর্থাৎ ছেলে ও মেয়ে, এমন অনেক কারণ রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানি না। তবে আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান বলছে, যমজ সন্তান জন্মের হার আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়ে গেছে। ১৯৮০ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত এই বৃদ্ধির হার ৭৬ শতাংশ।১৯৮০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সদ্যভূমিষ্ঠ প্রতি ৫৩ শিশুর মধ্যে একজন যমজ হত। ২০০৯ সালের হিসেবে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি ৩০ জনে একজন।সম্প্রতি যমজ সন্তানের মায়েদের উপর গবেষণা চালিয়েছে ‘জার্নাল অব রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন’।

এই গবেষণা থেকে উঠে এসেছে এমন এক ধরনের চা-ঞ্চল্যকর ত-থ্য যা শুনলে আপনিও অ-বাক হ-বেন । জার্নাল অফ রি-প্রোডাক্টিভ মে-ডিসিন যে গ-বেষণা চালিয়েছে সে গবেষণা থেকে উঠে এসেছে যে যমজ সন্তান ধারণের জন্য মায়ের উচ্চতা এক বড়োসড়ো ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে ।গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, মায়ের উচ্চতার সঙ্গে যমজ সন্তান জন্মদানের সম্পর্ক রয়েছে।

তাছাড়া মায়ের দেহে সাধারণত একই সময়ে একটি মাত্র ডিম্বাণু দুটি ডিম্বাশয়ের যে কোনও একটি থেকে নির্গত হয়। যদি দুটি ডিম্বাশয় থেকেই একটি করে ডিম্বাণু একই সময়ে নির্গত হয়, তবে ওভ্যুলেশন পিরিয়ডে তার শরীরে মোট দু-টি ডিম্বাণু থাকে।

এসময় মিলন হলে পুরুষের শুক্রাণু উভয় ডিম্বাণুকেই নিষিক্ত করে। এভাবেই নন-আইডেন্টিক্যাল টুইন শিশুর জন্ম হয়। এসব শিশু সবসময় একই লি-ঙ্গের নাও হতে পারে এবং তারা দেখতে ভিন্ন হয়। দেখে নেয়া যাক কি কি লক্ষন থাকলে বুঝতে হবে মায়ের গর্বে যমজ সন্তান রয়েছে।

ক্লান্তিঃ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অন্যতম লক্ষণ ক্লান্তি। অনেকেই প্রথম মাসে এই ধরনের ক্লান্তি অনুভব করেন। ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়ার রাতের টানা ঘুম হয় না। তাই শরীরও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম পায় না। যাঁদের এই ক্লান্তি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তাঁদের সম্ভাবনা থেকে যায় যমজ সন্তানের। তবে কেউ খুব বেশি ক্লান্ত মানেই যে গর্ভে যমজ সন্তান, এমনটার কোনও নিশ্চয়তা নেই।

বমির প্রবণতাঃ অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নানা রকম হরমোনের ক্ষরণ শুরু হয়। তাতেই অনেকের বমি ভাব বা বমির প্রবণতা শুরু হয়। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার চার সপ্তাহ পর থেকেই এই লক্ষণ দেখা দেয়। অনেক সময়ে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার আগেই এমন অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা দিনের যে কোনও সময়ে হতে পারে। যাঁদের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ১৪ সপ্তাহ পর্যন্ত এই সমস্যা থেকে যায়, তাঁদের গর্ভে একাধিক ভ্রূণ থাকতে পারে।

অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়াঃ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রথম ১২ সপ্তাহ তেমন ওজন বাড়ে না। মোটামুটি ২ কেজি অবধি বাড়তে পারে। তবে যাঁদের যমজ সন্তান হয়েছে, তাঁরা অনেকে জানিয়েছেন, প্রথম ১২ সপ্তাহেই তাঁদের তুলনামূলক ভাবে বেশি ওজন বেড়েছিল।

উচ্চ এইচসিজিঃ এইচসিজি বা হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন নামের হরমোনের ক্ষরণ শুরু হয় অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়। প্রেগন্যান্সি কিটে এই হরমোন ধরা পড়ে প্রস্রাবে। তবে রক্তে কতটা এইচসিজি রয়েছে, তা নির্ধারণ করতে পারে না এই পরীক্ষাগুলো। রক্ত পরীক্ষা করালে অবশ্য তা বোঝা যায়। ২০১৮ সালে করা এক সমীক্ষা বলছে, যাঁদের যমজ সন্তান ছিল গর্ভে, তাঁদের রক্তে এইচসিজি-র পরিমাণে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেশি ছিল।

দ্বিতীয় হৃদস্পন্দনঃ ৮ থেকে ১০ সপ্তাহের মাথায় সন্তানের হৃদস্পন্দন শোনা যায়। যদি আপনার চিকিৎসক মনে করেন, দ্বিতীয় কোনও হৃদস্পন্দন শোনা যাচ্ছে, তবে তা যমজ সন্তানের ইঙ্গিত হতে পারে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য বেশির ভাগ চিকিৎসক আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান করতে বলবেন।

স্ফীত পেটঃ মোটামুটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ২০ সপ্তাহ পরই কারও স্ফীত পেট দেখে বোঝা সম্ভব যে তিনি মা হতে চলেছেন। কিন্তু অনেকে যাঁরা যমজ সন্তানধারণ করেছেন, তাঁরা জানিয়েছেন, ২০ সপ্তাহের আগেই নাকি তাঁদের পেট স্ফীত হওয়া শুরু করেছিল। তবে বলে রাখা ভালো, কারও পেট ঠিক কোন সময়ে স্ফীত হবে, তা একেক জনের ক্ষেত্রে আলাদা হতেই পারে।

About Shariful Islam

Check Also

নিজের যৌন ক্ষমতা বাড়ান এই ৫ টি খাবার খেয়ে!

10 জনের মধ্যে 7 জন আজকাল তাদের যৌন জীবন নিয়ে চিন্তিত। বিশেষ করে আজকের দ্রুত …