বাড়িতে পড়তে এসেছিল ছাত্রী, অপহরণ করে ধর্ষণ, যাবজ্জীবন হল শিক্ষকের

১৬ বছরের ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের মামলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল পকসো আদালত। রাজস্থানের ঝালওয়ারের ওই আদালত সাজা ঘোষণা করে জানিয়েছে, দোষী শিক্ষকের এই কাণ্ড শিক্ষকদের পেশাকেই ছোট করেছে। লজ্জার মুখে নিচে নামিয়ে দিয়েছে। দোষীকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
দোষীর নাম আখলাখ হাসান। বাড়ি রতলাই থানায়।

সরকারি আইনজীবী লালচাঁদ মিনা জানান, আখলাখের বাড়িতে উর্দু শিখতে আসত নির্যাতিতাে এই ছাত্রী। ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি থানায় একটি অভিযোগ করেন কিশোরীর বাবা। তিনি জানান, আগের দিন, ২০ জানুয়ারি আখলাখের কাছে পড়তে গিয়েছিল তার মেয়ে। তার পর আর বাড়ি ফেরেনি। আখালখেরও খোঁজ মেলেনি। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে। কিশোরীর খোঁজ শুরু হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কামখেড়ায় আটকে রাখা হয়েছিল কিশোরীকে। ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সেখান থেকে পালিয়ে থানায় অভিযোগ জানায় কিশোরী। কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং পকসো ধারায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করে পুলিশ। ২০১২০ সালের ৭ মার্চ আখলাখকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পকসো আদালতের বিশেষ বিচারক মহাবীর প্রসাদ গুপ্ত দোষী সাব্যস্ত করেন আখলাখকে। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন তিনি। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, আখলাখের অপরাধ শিক্ষকতার পেশাকে ছোট করেছে।

About Shariful Islam

Check Also

বিবাহিত অথবা অবিবাহিত সকলের পড়া উচিৎ- এক করুণ কাহিনী

এক রাতে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর আমা’র স্ত্রি প্রতিদিনের মত আমাকে নিয়ে রাতের খাবার …