বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানিয়ে এক বেলায় ৩০০ গরিবকে খাওয়ালেন এক নবদম্পতি। বাঙালি বিয়ে মানে তিন দিনের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান। আর বাঙালি ভোজনপ্রেমীদের জন্য থাকবে নানা খাবারের আয়োজন। দম্পতির আর্থিক অবস্থা যাই হোক না কেন, ষোলআনা চান ব্যবস্থা।
তবে দেবীপ্রসাদ ও তিথি দম্পতির এমন মানুষকে বিয়ে করার কোনো ইচ্ছা ছিল না। তারা খুব সাধারণ বিয়ে করতে চেয়েছিল। তা করেছেন অধ্যাপক দম্পতি দেবীপ্রসাদ ভট্টাচার্য ও তিথি দে। ‘অসাধারণ’ বিয়েতে তারা মাত্র ৩০০ জন দরিদ্র ও হতভাগ্য মানুষকে খাওয়ায়।
দম্পতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার বাসিন্দা। দুজনেই পেশায় কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক। দেবীপ্রসাদের কর্মস্থল ব্যারাকপুরের রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজ। তিথি নেতাজি নগর কলেজের ডে বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রেম শুরু হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। এরপর ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ায়। এ বছরই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
কেন এভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে দেবীপ্রসাদ বলেন, ‘অনেক মানুষ আছেন যারা দিনের পর দিন খাবার পান না। আর বিয়ের অনুষ্ঠানে মানুষ খাওয়া শেষ করতে পারে না। অবশিষ্ট খাবারও নষ্ট হয় না। এগুলো অতিরঞ্জন ছাড়া আর কিছুই নয়। এই আয়োজনে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তা যদি জনগণকে না খাওয়ায়, তবে এটিই আসল মূল্য।
এই দম্পতির বিয়ের ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই প্রশংসা করছেন তাঁদের এমন ব্যতিক্রম সিদ্ধান্তের। কিন্তু কতজন তাঁদের মতো সাহসী হয়ে উঠতে পারবেন তা বলা মুশকিল। কিন্তু তবু কিছু দৃষ্টান্ত থাকে যা ভাবতে শেখায়। তেমনই দৃষ্টান্ত নবদম্পতি দেবীপ্রসাদ-তিথি।