বিবা’হিত জীবনে যৌ’নতা নিয়ে কিসের এত লজ্জ্বা? যখন বিধাতা স’ঙ্গ’মকে স্বর্গীয় বন্ধ’ন বলে ঘোষনা দিয়েছেন।আপনার যৌ’ন জীবনের রুটিনে পরিবর্তন আনুন, স’ঙ্গ’মকে ইতিবাচক দৃষ্টিভ’ঙ্গিতে দেখু’ন।আপনার যৌ’ন স’ঙ্গির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। যৌ’নতা কেবল মাত্র পুরু’ষের কামনাই চরিতার্থ করেনা।
না’রীরও দৈহিক ও মা’নসিক ভা’রসাম্য রক্ষা করে। আপনার সংসারে যদি আপনার কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চান তাহলে আপনার স’ঙ্গীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। যৌ’ন স’ঙ্গী আপনার কাছে কিরকম ব্যবহার আশা করে এখানে তেমন কয়েকটি সূত্র দেওয়া হলো। তবে অবশ্যই তার প্রতি আপনার ও আপনার প্রতি তাঁর বোঝাপড়া এখানে মূখ্য ভূমিকা পালন করে।
১. মি’লনে দীর্ঘক্ষন সময় নিন যখন স’ঙ্গীর কাছে যাবেন তখন সময় নিয়ে যান। স’ঙ্গীর দে’হের সাথে আপনার দে’হের ঊষ্ঞতা উপভোগ করুন দীর্ঘ সময় যাবত। স’ঙ্গীকে বুঝতে চেষ্টা করুন। এটা এমন নয় যে, আপনি এবং আপনার স’ঙ্গীকে পরিস্থিতি এমন সম্প’র্কে উপনীত করেছে। বরং পরিস্থিতিকে আপনারা নি’য়ন্ত্রণ করুন ও স’ঙ্গীকে ভালবাসুন।
2. হাল্কা গতিতে সহবাস করুন – যারা যৌথ পরিবারে বাস করেন বা পরিবারের বেশি সন্তানের সাথে এবং শহুরে জীবনে কম জায়গা। যৌন মিলন অনেক ক্ষেত্রেই অসম্ভব হয়ে পড়ে। কারণ বিবাহিত দম্পতিরা নিজেদের জন্য কিছু ব্যক্তিগত সময় চান। কিন্তু বাড়িতে একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতি এবং অবস্থান এই ইচ্ছাকে সফল করে না। তাই তারা সুযোগের অপেক্ষায়।
যখনই আপনার স’ঙ্গীর কাছ থেকে এমন কোন ইশারা পাবেন তাকে সময় দেয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনাদের মধ্যে ভালবাসার গভীরতা বাড়বে। অনেক সময়ই আমাদের দেশের মে’য়েরা শ্বশুর শ্বাশুড়ীর সাথে বসবাস করতে চায়না। তার একটা মূ’ল কারন কিন্তু এই একান্ত জীবন। কারন প্রতিটা মানুষেরই ব্যক্তিগত জীবন আছে।
যেহেতু আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ও পারিবারিক জীবন এতো খোলামেলা নয় তাই আমাদের মে’য়েরা অনেক সময় লজ্জ্বার কারণে তার স’ঙ্গীর ইশারায় সাড়া দেয়না। এতি হিতেবিপরীত হয়। পুরু’ষ স’ঙ্গীটি শা’রীরিক ভাবে তার স্ত্রী’’র সান্নিধ্য কামনা করলেও সে যখন তাকে পায় না।
৩. যৌ’ন উদ্দীপনায় স’ঙ্গীকে সহায়তা করা-কিছু কিছু মানুষ প্রকৃতপক্ষেই স্ত্রী’’ স’ঙ্গীকে অনেক বেশি যৌ’ন উন্মাদনায় ভাসাতে চায়। তারা তাদের যৌ’ন তৃ’প্তির জন্য স’ঙ্গীর সাথে বিভিন্ন আসনে যৌন স’ঙ্গ’ম করতে চায়। আমাদের দেশের মে’য়েরা যেহেতু অনেক বেশি লাজুক প্রকৃতির তাই তারা অনেক সময় পুরু’ষ স’ঙ্গীটিকে বুঝতে পারে না।যৌ’নতা যেহেতু মানুষের মন ও দে’হের একটি প্রাকৃতিক চা’হিদা তাই স’ঙ্গীটি অন্য কোন উপায়ে তার সেই কৌতুহলকে মিটাতে অনেক ক্ষেত্রে খা’রাপ না’রীর স’ঙ্গ নিতে পারে। এতে আপনার সু’খের সংসারে ভ’য়ংকর বি’পদ নেমে আসতে পারে। হয়তো কোন বি’পজ্জনক রো’গ বহনকারী না’রীর সাথে মি’লনে পুরু’ষ স’ঙ্গীটি কোন মা’রাত্মক রো’গ বহন করে নিয়ে আসতে পারে
৪. সহবাসের সময় আত্মসমর্পণ- আমাদের অংশীদারদের মধ্যে ভাল বোঝাপড়া থাকলে, যৌন জীবনে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু যদি দম্পতি আনাড়ি হয় তবে পুরুষ সঙ্গীকে এই অ্যাকশনে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। এই ক্ষেত্রে মহিলা সঙ্গী প্রায়শই নিষ্ক্রিয় হয় বা জোড়ায় অর্থ প্রদান করতে হয়। এই ধরনের ক্ষেত্রে, আপনার অংশীদার কোম্পানি রাখতে আপনাকে অনেকবার আত্মসমর্পণ করতে হতে পারে।
.৫. নারীদের যৌন সক্রিয় হতে সাহায্য করা – আমরা মনে করি যৌনতা একচেটিয়াভাবে পুরুষের সাধনা। কিন্তু বাস্তবে পুরুষের মতো নারী সঙ্গীরও শারীরিক ও শারীরিক যৌন চাহিদা থাকে। যখন মহিলা সঙ্গী উত্তেজিত হয় তখন পুরুষ সঙ্গীর উচিত তার মহিলা সঙ্গীকে যৌন কার্যকলাপে সহায়তা করা। এতে আপনার প্রতি তার সম্মান বাড়বে এবং সে কখনই আপনার বিশ্বাস লঙ্ঘন করবে না।
.৬. একটি আরামদায়ক জায়গায় সহবাস করুন – যৌন ক্রিয়াকলাপ প্রাণী জগতের একটি অদম্য বেঁচে থাকার নিয়ম। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এবং বংশবৃদ্ধির জন্য যৌন কার্যকলাপের কোন বিকল্প নেই। তাই যৌন বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার পরিবর্তে আমাদের সঙ্গীদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলা উচিত। সঙ্গীর পছন্দের জিনিস দেওয়া এবং অপছন্দের জিনিস থেকে বিরত থাকা।
আপনি যদি মনে করেন যে আপনি বিবাহিত তাহলে আপনি যেভাবে চান সেই মহিলার সাথে সেক্স করতে পারেন। এই ধারণা ভুল। আপনার সঙ্গী আপনার পক্ষে ধর্ষণের জন্য আইনি আশ্রয় নিতে পারে। তাই আপনার সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন, আপনার সঙ্গীকে ভালোবাসুন। সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ে তুলুন।